সব

টাইগারদের দাপুটে সিরিজ জয়

আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২১, ০২:৫৪


স্টেডিয়ামজুড়ে নেই বর্ণিল আলোকসজ্জা নেই বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে চিৎকার, উল্লাস। তবে আছে উজ্জ্বল হয়ে ওঠা ‘ফ্লাডলাইটের আলো’ তাতে গড়া হয়েছে আপাতদৃষ্টিতে ‘উৎসবহীন’ এক ইতিহাস।

অস্ট্রেলিয়াকে টানা তিন ম্যাচ হারিয়ে বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচের সিরিজটা নিজেদের করে নিয়েছে। ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতাপশালী দলের একটির বিরুদ্ধে এই প্রথম এমন কীর্তি!

এমন সিরিজ জয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিশ্চয়ই দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দেবেই। অস্ট্রেলিয়াকে তো আর রোজ রোজ সিরিজ হারানো যায় না। তা সেটা নিজেদের মাঠ হোক, প্রতিপক্ষের ‘এ’ বা ‘বি’ দল যাই হোক।

সিরিজ জয়ের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ পায় ১২৭ রানের পুঁজি। জবাবে অজিরা তুলতে পারল ১১৭ রান। তাতে ১০ রানের জয় পেয়ে যায় বাংলাদেশ। আর এই জয়ের মাধ্যমে অজিদের বিপক্ষে যেকোনো ফরম্যাটে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়টাও ধরা দিল টাইগারদের হাতে। টানা তিন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ঘটনাও এই প্রথম।

দুই ওপেনারের বিদায়ের ধাক্কা অবশ্য দ্রুতই কাটিয়ে ফেলেন দুই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। তাদের ৪৪ রানের জুটি ভালো কিছুর বার্তাই দেয়। সাকিব ১৭ বলে ২৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ভরসা হয়ে থেকে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

তিনি টিকে ছিলেন ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত। প্রথম ইনিংসের পর তার ইনিংস নিয়ে ‘প্রশ্ন’ থাকতে পারে হয়তো। ম্যাচশেষে নিশ্চয়ই আর নেই। ৫৩ বলে ৫২ রানের ইনিংসটির গুরুত্বের কথা ম্যাচজয়ের পর বুঝতে পারার কথা।
গুরুত্ব অবশ্য ছিল দুইটি ছোট্ট ইনিংসেরও। দুটিই শেষ হয়েছে রান আউটে। ৫ বলে ১১ করা নুরুল হাসান সোহান আর ১৩ বলে ১৯ রান করা আফিফ হোসেন ‍দুজনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বাংলাদেশের ১২৭ রানের সংগ্রহে।

বৃষ্টি হলেও উইকেটে যে টিকে থাকলে মারা যাবে সেটা ‍বুঝিয়ে গিয়েছিলেন সাকিব-আফিফ-সোহানরা। তাতে পুঁজিটা কম হয়ে গেল কি না এমন শঙ্কা ছিলই। ৫ বলে ১ রান করে নাসুম আহমেদের বলে ম্যাথু ওয়েড শরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আগের দুই ম্যাচের ‘রোগ’ যে সারেনি, এমন বার্তাই হয়তো দিয়েছিলেন।

কিন্তু খানিক বাদেই সেটাকে ‘ভুল’ প্রমাণ করতে যেন নিজেদের সবটুকু দিয়ে দেন ম্যাকডারমট ও মিচেল মার্শ। দুজনের অপরাজিত ৬৩ রান ভয় ধরাচ্ছিল, আজ হয়তো উৎসবটা হবে না। সেটা আরও বাড়ায় শরিফুলের ক্যাচ মিস।

উইকেট যখন একদম জরুরি হয়ে গেছে। তখন অধিনায়ক বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মুস্তাফিজকে। বিপদে তো তিনিই ভরসা। তা মুস্তাফিজও বুঝতে পেরেছিলেন। ম্যাকডারমট ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তার বলে। কিন্তু শরিফুল এমন লোপ্পা ক্যাচটা ফেললেন। যেটা দশবার তার কাছে আসলে অন্তত নয়বারই ধরার কথা।

ওই ক্ষতে অবশ্য আর বাড়তি ঘা লাগেনি। সেটা সাকিবের কারণে। ম্যাকডারমটকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখিয়ে মার্শের সঙ্গে তার জুটিটা তো ভেঙেছেন তিনিই। বাকি কৃতিত্বটা মুস্তাফিজুর রহমানকে একা দিয়ে দিলেও খুব বড় ‘অন্যায়’ হওয়ার কথা না।

১৯ তম ওভারে এসে তিনি পাঁচটি ডট বল করেছেন, কেবল দিয়েছেন এক রান। এই একটি তথ্যই তো মুস্তাফিজের মাহাত্ম্য বুঝানোর জন্য যথেষ্ট। সবমিলিয়ে শুক্রবার দিনটি ‘স্বর্ণের অক্ষরে লেখা দিন’ই হয়ে থাকল।

আহমেদাবাদের পিচ নিয়ে হ্যাজলউড

ওয়ানডে, টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসবে নিউ জিল্যান্ড

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বাদ নাকি বিশ্রাম?

র‌্যাঙ্কিং বাংলাদেশের উন্নতি

টাইগারদের জয়কে ফের অপমান

সাকিবের গুরুত্ব ফের প্রমাণ

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ