মহামারি পরিস্থিতি উন্নতি হলে দীর্ঘবন্দি জীবনে কিছুটা আনন্দবিলাস দিতে যেতে পারেন আলিকদমের ‘দামতুয়া’য়। দৈর্ঘ্যে, প্রস্থে কিংবা দেখতে সুন্দর ও বড় ঝরনাগুলোর মধ্যে এটি অব্যশই প্রথম সারিতেই থাকবে।
পামিয়া পাড়াপামিয়া পাড়াআদুপাড়া থেকেই দামতুয়ার পথে শুরু হয়ে যাবে জীবনের রোমাঞ্চের আরেক অধ্যায়। এই আদুপাড়া জায়গাটা ১৭ কিলো নামেও যথেষ্ট পরিচিত। আর এখান থেকেই দামতুয়া ঝরনার দূরত্ব সাকূল্যে ৮ থেকে ১০ কিলো হবে। তবে পাহাড়ি উঁচু-নিচু আর ছোট ছোট ঝিরি পথ ধরে এগুতে এই পথ যেমন রোমাঞ্চকর তেমনই কষ্টসাধ্য। তাই কিলোমিটারের হিসেবে এটুক পথের যাত্রা মোটেই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।
আদুপাড়া নেমে একজন গাইড নিতে হবে অবশ্য। এটা নিয়ে চিন্তার তেমন কিছুই নেই, গাইড সমিতির টংঘরের সামনেই জিপ কিংবা ভাড়া করা মোটরসাইকেল আপনাকে নামিয়ে দেবে। মোটামুটি একটা নির্ধারিত মূল্যেই আপনি গাইড ঠিক করে নিতে পারবেন, ১ হাজার টাকার মধ্যে।
উল্লেখ্য যে আলীকদম বাজার পৌঁছার আগে এবং আদু পাড়া পর্যন্ত মোট তিনবার সেনাবাহিনী চেকপোস্টে প্রত্যেকের ন্যাশনাল আইডি কার্ড কিংবা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি জমাসহ বিস্তারিত তথ্য দিয়ে অনুমোদন নিয়ে নিতে হবে।
পার্বত্যাঞ্চলের অন্য আট-দশটা পথের মতোই অতিরিক্ত মায়াময় এই পথ। কোথাও একেবারে খাড়া, আবার এই উঁচুটুক উঠেই পরের কদমেই নেমে যাচ্ছে ৮০ ডিগ্রি ঢালু পাহাড়ের শরীর।
দূরের বিশালদেহি পাহাড়গুলো যেন হাতছানি দেয় আরেকটু এগিয়ে যাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যোগায় চক্রবৃদ্ধির সূত্রে। পথের মাঝেই পাহাড় বেয়ে নেমে যাওয়া ঝিরির সঙ্গে দেখা হয় একটু পর পর!
পার্বত্যাঞ্চলের অন্যান্য রুটগুলোর মতো এখানটায় স্থানীয় পাড়ায় থাকার আনুষ্ঠানিক কোনো অনুমতি না থাকায় কেউই অবশ্যই এই জঙ্গলের পাড়ায় থাকার পরিকল্পনা রাখে না।
ঢাকা থেকেই এখন সরাসরি আলীকদম পর্যন্ত বাস আছে। ভাড়া ৮৫০ টাকা। আলীকদম বাজার কিংবা সামনের পান বাজার থেকে মোটরসাইকেল অথবা জিপ গাড়ি ভাড়া করে চলে যেতে হবে ১৭ কিলো বা আদুপাড়া পর্যন্ত। ভাড়া মোটর সাইকেল ৮শ’ টাকা যাওয়া-আসা দুই জনের জন্য। আর জিপ গাড়ি নিবে ৩ হাজার বা ৩ হাজার ২শ’ টাকার মতো। প্রয়োজনীয় ফোন: নম্বর আবুল কালাম ০১৮৬৫৯২৫৯৫০ (জিপ)। ইংরিং- ০১৮৮৮০৮৫৬৯৩ (গাইড)।