সব

সৌন্দর্যের জাদু যাদুকাটা নদীতে

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২২, ১৪:৫৭

 
বিপুল সম্ভাবনা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ডালা সাজিয়ে আছে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব দিগন্তে অবস্থিত ভাটির জনপদ। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা রূপের নদী, সম্পদের নদী, শ্রম ও সমৃদ্ধির নদী। সৌন্দর্যে ষোলো কলায় পরিপূর্ণ এক লীলাভূমি যাদুকাটা নদী।

দেশের এ প্রান্তিক জনপদে প্রকৃতি যেন অকৃপণ হাতে বিলিয়ে দিয়েছে অফুরন্ত সম্পদ, সম্ভাবনা আর অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য। নীল আকাশে সাদা মেঘের খেলা। কখনো জমাট আবার কখনো হালকা বাতাসে দলছুট হয়ে পাগলা ঘোড়ার মত ছুটে গিয়ে মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড়ে গিয়ে আছড়ে পড়ছে। তারই মুগ্ধকর দৃশ্য তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বারেক টিলা সংলগ্ন যাদুকাটা নদীর প্রান্তে ফুটে ওঠে। তখন যে কেউ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সেই রূপের রাণী যাদুকাটার ঢেউ খেলানো অঙ্গ-ভঙ্গিমার প্রতি।

সীমান্ত নদী যাদুকাটার যেন রূপের শেষ নেই। এই রূপে মুগ্ধ হচ্ছেন হাজার হাজার পর্যটক। প্রায় সারা বছরই পর্যটকদের মিলনমেলায় পরিণত হয় যাদুকাটা নদীর তীর। দিন যতই যাচ্ছে যাদুকাটা নদীর প্রতি সৌন্দর্য পিপাসুর সংখ্যাও বাড়ছে।

ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের বুক চিড়ে বয়ে আসা ১৮টি পাহাড়ি ছড়ার মাধ্যমে বর্ষায় দেখা যায় চোখ জুড়ানো পাহাড়ি ঝরনা। পাহাড়ি নদীর সঙ্গে যুক্ত আছে শাহ আরেফিন আউলিয়ার আস্থানা, পনতীর্থ ও সাতশো ফুট উচ্চতা সম্পন্ন বারেক টিলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য। পাশেই আছে দেশের বৃহত্তর শিমুল বাগান। এক সঙ্গে একাধিক সৌন্দর্য দেখার মত স্থান। তাই এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশ থেকেও এসে ভিড় করে শত শত পর্যটক। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড়ের বুক চিড়ে পাহাড়ি ঝরনার পানি মিলিত হয়েছে সীমান্ত নদী যাদুকাটায়।.

২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ যাদুকাটা নদী উপজেলার সবচেয়ে বড় নদী। এ নদীতে সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি পাথর শ্রমিক জীবীকার তাগিদে নদী থেকে বালু, পাথর, নুড়ি পাথর আহরণ করতো। যদিও আইনি জটিলতায় বন্ধ রয়েছে পাথর উত্তোলন।

ভারতের সারি সারি উঁচু-নিচু মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড় ও বারেক টিলার বুকে ঘন সবুজের সমারোহ পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ায়। তার মাঝে দিঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী গারো সম্প্রদায়ের আধো আধো বাংলা বলার চেষ্টা বেশ আনন্দ দেয় পর্যটকদের। তারা কখনো ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ডিঙ্গি নৌকা, কখনো তীর ঘেঁষা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাদুকাটার সৌন্দর্য উপভোগ করে।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, যাদুকাটা নদী ও তার আশপাশ এলাকাসহ টেকেরঘাট, বারেক টিলা ও টাংগুয়ার হাওরকে নিয়ে পর্যটন সমৃদ্ধ তাহিরপুর ইকোট্যুরিজম হিসাবে অচিরেই বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে। করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধে কারণে এখন পর্যটকদের উপস্থিতি কম।

হাওর সৌন্দর্যের আধার

নীল জলে ছুটে চলা

ভ্রমণে বর্ষা উপভোগ (পর্ব-২)

বর্ষায় ভ্রমণ হোক সুনামগঞ্জে

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ