সব

বর্ষায় ভ্রমণ হোক সুনামগঞ্জে

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২১, ০১:২৩

সৌন্দর্যের এক লীলভূমির নাম সুনামগঞ্জ। হাওর আর পাহাড় দুইয়ে যেন অনিন্দ্যসুন্দর মিতালির এক মিশেল গড়েছে বাংলাদেশের এই জেলাকে। নীল আকাশে মেঘেদের ছুটোছুটি আর বিলে তারই প্রতিচ্ছবি ভ্রমণপিপাসুদের অশান্ত মনকে মুহুর্তেই প্রশান্তি এনে দেয়। সুনামগঞ্জ শহরে চোখ রাখলেই মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির দৃশ্য চোখে পড়ার মতো।

টাঙ্গুয়ার হাওর

টাঙ্গুয়ার হাওর

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিষ্টি জলের জলাভূমি এই টাঙ্গুয়ার হাওর। এটি দেশের অন্যতম সুন্দর ও জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ সম্ভাবনাময় একটি জলাভূমি। যে হাওরে মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে এসেছে ত্রিশটিরও বেশি ঝরনা। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর টাঙ্গুয়ার হাওর। প্রায় ১৪০ প্রজাতির মাছ, ১২ প্রজাতির ব্যাঙ, ১৫০ প্রজাতির বেশি সরীসৃপ ও ২০৮ প্রজাতির পাখির আবাস এই টাঙ্গুয়ার হাওর। শীতকালে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে উড়ে আসে প্রায় ২৫০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। টাঙ্গুয়ার হাওর বেড়ানোর আদর্শ সময় বর্ষাকাল। কারণ এই সময় টাঙ্গুয়ার হাওর জলে টইটম্বুর থাকে। হাওরের জলে ঢেউয়ের খেলা তখন পর্যটকদের মন ভরিয়ে দেয়। তবে পাখি দেখতে হলে যেতে হবে শীতকালে। দুই মৌসুমের সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো। হাওরের উত্তরে সবুজে মোড়া মেঘালয় পাহাড়। পাহাড়ের পাদদেশে হাওরপারে স্বাধীনতা উপত্যকা, শহীদ সিরাজ লেক, নিলাদ্রী ডিসি পার্ক। দেখা যায়, আকাশে শুভ্র মেঘের ওড়াউড়ি। বিকেলের রোদে মেঘের ছায়া পড়ে নীল হয়ে ওঠে হাওরের জল। তখন পুরো এলাকাকে ছবির মতো মনে হয়। শুকনা মৌসুমে হাওরে জল থাকে কম। তখন পায়ে হেঁটেই হিজল ও করচবাগানের ভেতর দিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। পুরো হাওরকে চোখের সীমানায় নিয়ে আসতে রয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। হাওরের ভেতরে জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য খাল ও নালা। হাওর এলাকার ৮৮টি গ্রামের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ হাওরের ওপর নির্ভরশীল।

যাদুকাটা নদী

যাদুকাটা নদী

নদীর জলে চোখ যেন আটকে যায়। মূলত ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশ ছুঁয়ে এ পানি যাদুকাটা নদীতে বয়ে চলে। স্বচ্ছ পানিতে আকাশের নীল বর্ণ আর মেঘেদের ছুটোছুটি প্রফুল্লতার এক জাদুর কাঠি। লোকমুখে শোনা যায়, নদীর তীরে এক গৃহবধূ তার শিশুপুত্র যাদুকে কো‌লে নি‌য়ে এই নদীর মাছ কাটছিলেন। এক পর্যায়ে অন্যমনস্ক হ‌য়ে মাছের জায়গায় তার কোলের শিশুকে কেটে ফেলেন। পরবর্তীতে সেই প্রচলিত কাহিনী থেকেই নদীটির নাম হয় যাদুকাটা নদী। এ নদী থেকে উত্তোলন করা হয় বালু, পাথর ও কয়লা। বর্ষায় পানিতে টইটম্বুর থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে আরেক রূপ ধারণ করে যাদুকাটা। শুষ্ক মৌসুমে নদীর দুই কূলে জেগে ওঠা বিশাল চরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলে পানির প্রবাহ।

শিমুল বাগান

শিমুল বাগান

এটি বাংলাদেশের সেরা একটি পর্যটন কেন্দ্র। বসন্তে শিমুল ফুলে ছেঁয়ে যায় চারপাশ-প্রকৃতি যেন লাল বর্ণের খেলায় মেতে উঠে। বাতাসেও থাকে ঘ্রাণের সুবাস। এসময় শিমুল বাগানে মানুষের তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। সারি সারি শিমুলের গাছ আপনাকে নিয়ে যাবে কোনো রাজপুরীর বাগানে। চোখের ওপারে পাহাড়ের মুগ্ধকরা দৃশ্য হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।

নীলাদ্রি লেক

নীলাদ্রি লেক

সীমান্ত ঘেঁষা নীলাদ্রি লেকের খুব কাছে থেকেই দেখা যায় সীমান্তের কাঁটাতার। আর পাহাড়ের ঢং, রঙ তো আছেই। নীলাদ্রি লেকের পানির স্বচ্ছ জলও মন ছুঁয়ে দেবে। উঁচু নিচু টিলা আর লেকের দৃশ্য এখানে মনকে নাচিয়ে তোলে। সময় করে গেলে নীলাদ্রি লেকে ছোট ছোট খেয়া হয়ে লেকের বুকে কিছুটা সময় কাটানো কোন ব্যাপার-ই না। পর্যটকদের কাছে নীলাদ্রি লেক বেশ জনপ্রিয় একটি নাম।

সৌন্দর্যের জাদু যাদুকাটা নদীতে

বুক চিতিয়ে চিম্বুক পাহাড়

হাওর সৌন্দর্যের আধার

পাহাড় ট্রেকিংয়ে সতর্কতা

ভ্রমণপিপাসুদের ডাকছে সিন্দুকছড়ি

মনভোলানো ভোলা

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ