আমার তো এখন ও বই পড়াই শেষ হয় নি। হয়ে গেছে এর মধ্যেই ?
প্রায় ৫০০ দিন পর গুহা থেকে বের হয়ে এই কথা গুলোই বলেছিলেন বিয়াট্রিজ। তিনি ভাবতেই পারেন নি এত গুলো সময় পার হয়ে গিয়েছে।
বলছিলাম স্পানিশ পর্বতারোহী বিয়াট্রিজ ফ্লামিনির কথা। প্রাচীন মানুষ এর মত গুহাবাসী হবার ইচ্ছা তা তার মাথায় আসে হঠাৎ করেই। আর যেমন ভাবনা তেমন কাজ। তিনি খুজেও বের করলেন থাকার মত একটা গুহা।
বই, ছবি আঁকার সরঞ্জাম এবং গোপ্র ক্যামেরা নিয়ে গ্রানাডার মাটির প্রায় ২৩০ ফুট নিচের একটা গুহাতে নেমে গেলেন।
যদি ভালো না লাগে তার জন্য সাথে একটা প্যানিক বাটন ছিল সাথে। যা প্রেস করলে সাহায্য পেতে পারতেন
যদিও তার এই বাটন তা একবারেই কাজে লাগে নি। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি গুহাতে প্রবেশ করেন এবং ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তাকে গুহা থেকে বের করা হয়।
একমাত্র গোসল ছাড়া অন্য কোনো কিছুর জন্য তার বের হবার ইচ্ছা একবারেই ছিল না।
তিনি বলেন,“সত্যি বলতে আমি বের হতেই চাইনি”।বই পরে,ছবি এঁকে এবং নিজের সাথে দারুন সময় কাটিয়েছেন তিনি। তার ধারণা ছিল তিনি হয়ত ১৫০ থেকে ১৬০ দিনের মত সময় কাটিয়েছেন। আসলে তিনি দিনের হিসাব ভুলে গিয়েছিলেন।তিনি প্রায় ৫০৯ দিনের মত ছিলেন গুহার ভিতরে।প্রথম দিকে কিছু দিনের হিসাব করলেও পরে তা আর প্রয়োজন মনে করেন নি।
গুহা তে প্রবেশ করার সময় তার বয়স ছিল ৪৮ আর বের হবার সময় তা বয়স হয়েছিল ৫০।
যদিও তিনি সেই ৪৮ বছর এর সময় গুলোতেই পরে ছিলেন।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু কোনো কিছুই তিনি জানতেন না। তিনি যেন একটা টাইম ক্যাপসুলের মাঝে ছিলেন।আমার তো এখন ও বই প্রায় শেষ হয় নি। হয়ে গেছে এর মধ্যেই।
পুরোটা সময় আলমেরিয়ার কিছু বিজ্ঞানীদের সাথে তার খুবই সামান্য কিছু যোগাযোগ ছিল।যদিও তিনি তাদের সাথে খুব এ কম যোগাযোগ করেছেন।এমন কি তার পরিবার কেব মারা গেলেও তাকে তা জানানো নিষেদ ছিল।
এতটা সময় গুহাতে থাকলেও তিনি সুস্থ ছিলেন।নিজের জীবনের এমন একটা সপ্ন পড়ুন করতে পেরে তিনি খুবই খুশি।
এই সময় এর মাঝে তিনি প্রায় ৬০ টা বই পড়েছেন।