কমলার রস পান করার একটি প্রধান প্রতিক্রিয়া হল ‘হেস্পেরিডিন’য়ের উপকারিতা গ্রহণ। কমলার রসে উচ্চ পরিমাণে এটা পাওয়া যায় যা একটি ‘বায়োঅ্যাকটিভ’ যৌগ।
পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে, কমলার গুণাগুণ হিসেবে এতে থাকা হেস্পেরেডিন নামক রাসায়নিক উপাদানের কথা বলতেই হয়। এই উদ্ভিজ্জ উপাদান সিট্রাস বা টক ফলে পাওয়া যায়। এটা রক্তনালী ভালো রাখে ও প্রদাহ কমায়।
পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইটদিস ডটকম’য়ের একটি প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ও ‘নিউট্রিশন নাও’এর প্রতিষ্ঠাতা লরেন মানেকার বলেন, “শতভাগ খাঁটি কমলার রস শরীর আর্দ্র রাখে এবং কোনো শর্করা নেই। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ফোলাট এবং পটাসিয়াম। এসকল উপাদান শরীরের জন্য উপকারী”
খাঁটি কমলার রস “রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম যা কিনা ভিটামিন সি’য়ের ভালো উৎস” বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভেষজ ভিত্তিক নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ এবং ‘প্ল্যান্ট-বেইজড ইট’-এর কর্ণধার অ্যামি গোরিন। “হেস্পেরিডিন প্রদাহ কমায় এবং রক্ত প্রবাহ বজায় রেখে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করতে পারে।”
‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব নিউট্রিশন’য়ের এক গবেষণা থেকে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীরা তিন মাস ধরে কমলার রস, হেস্পেরিডিন সমৃদ্ধ কমলার রস অথবা নিয়ন্ত্রিত পানীয় পান করেছিলেন। গবেষকরা দেখেন যে, নিয়মিত হেস্পেরিডিন সমৃদ্ধ পানীয় গ্রহণ ‘সিস্টোলিক’ রক্তচাপ কমায়।
‘দ্যা ক্লিনিকাল জার্নাল অব দ্যা আমেরিকান সোসাইটি অ্যান্ড নেফ্রোলজি’তে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানান যায়, দৈনিক শতভাগ খাঁটি কমলার রস পান করলে বৃক্কে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে। শতভাগ খাটি কমলার রসে ৮৮ শতাংশ পানি, যা শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে ও বৃক্ক সুস্থ রাখে।
এছাড়াও এতে খাবার উপযোগী সিট্রেইট থাকে, যা বৃক্কের পাথর গঠনকারী উপাদান কমাতে ও পাথর হ্রাস করতে সাহায্য করে।
কোনো কিছুই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভালো নয়। তা যতই ভালো জিনিস হোক না কেনো। অতিরিক্ত কমলার রস খাওয়া টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।