ত্বকের যত্নে রান্নাঘরের সব উপাদান যে সব সময় উপকারী তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না। কোনো ব্যবহার করাই ঠিক নয়, কোনোটি আবার সরাসরি ব্যবহার করা যায় না, ব্যবহার করতে হয় অন্য কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে। এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো উপকারী ভেবে ত্বকে ব্যবহার করলে ভুগতে হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক রান্নাঘরের কোন উপাদানগুলো ত্বকের জন্য ক্ষতি ডেকে আনতে পারে-
লেবু কি ত্বকের ক্ষতি করে?
ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হলো লেবু। আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেইসঙ্গে এটি প্রয়োজন ত্বক ভালো রাখতেও। তবে কখনোই লেবুর রস সরাসরি মুখে ব্যবহার করবেন না। এর সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকে জ্বালাভাব তৈরি করতে পারে। অনেক সময় ত্বক পুড়িয়েও দিতে পারে। লেবুর রস অন্যান্য উপকারী উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের আগে সঠিক নিয়ম জেনে নেবেন।
সাদা তেল কি ত্বকে ব্যবহার করা যাবে?
রান্নায় সাদা তেলের ব্যবহার করা হয় বেশিরভাগ বাড়িতেই। সরিষা কিংবা নারিকেল তেলের মতো এই তেল কিন্তু ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যাবে না। সূর্যমুখীর তেল বা সয়াবিনের তেলে আপনি লুচি-পরোটা ভাজেন কিংবা যেকোনো খাবার রান্না করে খান। কিন্তু ভুলেও ত্বকে ব্যবহার করতে যাবেন না। কারণ লোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে এই তেল। এর ফলে পুরো মুখে ব্রণ, র্যাশ ইত্যাদি হতে পারে।
দারুচিনি কখনোই ত্বকে ব্যবহার করবেন না
সুগন্ধী মশলা হিসেবে দারুচিনির সুখ্যাতি রয়েছে। রান্নায় স্বাদ ও গন্ধ যোগ করতে এটি কার্যকরী। এই মশলা কি ত্বকের জন্য উপকারী? উত্তর হলো- না। ত্বকের যত্নে কখনোই দারুচিনি ব্যবহার করা যাবে না। যদি কখনো দারুচিনি ত্বকে ব্যবহার করেন তবে সঙ্গে সঙ্গে জ্বালাপোড়া শুরু হতে পারে।
ভিনেগার ত্বকের যত্নে মোটেই উপকারী নয়
আচার তৈরি থেকে শুরু করে আরও অনেক কাজে লাগে ভিনেগার। তাই প্রায় সবার রান্নাঘরেই এর দেখা মেলে। এটি কিন্তু ত্বকের যত্নে একদমই উপকারী নয়। বরং কখনো ভুলে ত্বকে ব্যবহার করে ফেললে তার মাশুল গুনতে হতে পারে। কারণ এতে অ্যাসিডের মাত্রা থাকে অনেক বেশি। ফলে ত্বকে ব্যবহারের পরপরই পোড়াভাব দেখা দিতে পারে। এর ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির বদলে কমতে শুরু করবে।