প্রযুক্তির যুগে বাজারে রয়েছে অসংখ্য ব্র্যান্ড কিংবা নতুন নতুন মডেলের নানা মোবাইল ফোন। আপনি যখন নতুন মুঠোফোনের কেনার কথা ভাবছেন, তখন এই বাজারে নানা ব্র্যান্ড আর মোবাইলফোনের ভিড়ে হিমশিমে পড়তে হচছে স্বাভাবিকভাবেই। অনেক সময় আপনি বুঝে উঠতে পারছেন না আপনার জন্য কোনটি সঠিক? দেখে নেবো ফোন কেনার আগে আপনাকে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
দাম ও বাজেট
সবার আগে যেটি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো ফোনের জন্য আপনার বাজেট। স্মার্টফোন কিনতে আপনি কত টাকা খরচ করতে চান এবং সেই দামের মধ্যে কোন স্মার্টফোনটিতে সবচেয়ে বেশি ফিচার পাচ্ছেন সেটাই হবে আপনার জন্য বেস্ট ডিল। কারন আপনার বাজেট কম হলে হয়তো একটা স্মার্টফোনে লেটেস্ট সব টেকনোলজি কিংবা সব ফিচার পাবেননা, আর এটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে একটু বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করে আপনার বাজেটে কোন কোম্পানির কোন মডেলটি সবচেয়ে ভালো জিনিস দিচ্ছে সেটা নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে আপনার বাজেট লিমিটেশন না থাকলে ভালো কোনো কোম্পানির লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ মডেলটাই নেয়া উচিত। সেক্ষেত্রে আপনার চয়েজ করাও অনেকটা সহজ আর লেটেস্ট সব টেকনোলজিও পাচ্ছেন। আর সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ফ্ল্যাগশিপগুলো থাকায় আপনি ভালো সাপোর্টও পাবেন।
অপারেটিং সিস্টেম
ফোনের কেনার সময়ে ফোনের অপারেটিং সিস্টেমও দেখা দরকার ফোনের অপয়ারেটিং সিস্টেম ফোনের অত্যন্ত দরকারি বিষয়। ফোনের অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড বা iOS হয় আর যে ফোনই কিনুন দেখে নেবেন যে ফোনের অপারেটিং সিস্টেম যেন লেটেস্ট ভার্সানে থাকে।
প্রসেসর
আমরা জানি যে ফোনের খুব দরকারি জিনিস হল ফোনের প্রসেসার। আসলে একটি স্মার্টফোনের প্রসেসার ফোনের মাথার মতন। আপনার স্মার্টফোনে যত বেশি শক্তিশালী প্রসেসার থাকবে ফোন তত ভাল কাজ করবে। মানে ফোন তত সহজেই রান করবে। এই সময়ের প্রসেসার গুলি যদি দেখি তবে আপনারা এই সময়ে ফোনে কোয়াল্কম স্ন্যাপড্র্যাগন 845 বা এর থেকে বেশি প্রসেসার যদি পান তা হবে সব থেকে শক্তিশালী প্রসেসার। আর এই প্রসেসার ওয়ানপলাস 6 আর আসুস জেনফোন 5Z তে দেখা গেছে। আর কয়েক মাস আগে পর্যন্ত কোত্যাল্কম 835 সব থেকে শক্তিশালী প্রসেসার ছিল আর এর মানে এই যে ফোনে গুলি খারাপ তা কিন্তু নয়।
গ্রাফিক্স প্রসেসার ইউনিট
গ্রাফিক্স প্রসেসার ইউনিটকেই GPU বলে। আর একটি প্রসেসারের জন্য একটি GPU থাকা দরকার আর এর জন্য আপনাদের ফোনে প্রথমে এটি থাকা দরকার।
ডিসপ্লে
ফোনের ভাল বা বড় ডিস্পেল ফোনে কিছু বেশি ভাল করে দেখতে সাহায্য করে। ফোনের সাইজ আগে 1-5 ইঞ্চির হত এখন ফোনের সাইজ 6 ইঞ্চির বেশি হয়। ফোনের ডিসপ্লে সাইজ যত বেশি বা বলা ভাল যত বড় হয় ফোনে অনেক কাজ করা যেমন সিনেমা দেখা বা গেমিং করার মতন জিনিস গুলিও কিন্তু অনেক বেশি ভাল করে করা যায়।
র্যাম
বেশি র্যাম থাকলে ফোন মাল্টি টাস্কার বেশি হয়। আগের 1-3Gb র্যামের ফোনের কথা ভাবুন আর এখনকার 4-6Gb র্যামের ফোনের কথা ভাবুন যে আপনাদের আগে এই র্যামের ফোনে কাজ করতে যে সময় লাগত এখন তার থেকে অনেক কম সময়ে ভাল ভাবে ফোনে কাজ করতে পারেন। আর এখনতো 8 GB 12GB র্যামের ফোনও আশা শুরু করেছে।
স্টোরেজ
ফোনের র্যামের মতন একটি ফোন কেনার আগে ফোনের স্টোরেজ বিষয়টিও দেখে নেওয়ার দরকার। আপনার ফোনের স্টোরেজ যত বেশি হবে ফোনের স্পেস বেশি হবে আর তাই ফোনে বেশি অ্যাপ বা বেশি ডকুমেন্ট সেভ থাকলে আপনার ফোন রান করতে সমস্যা হবে না।
ব্যাটারি
ফোনের শক্তিশালী ব্যাটারি যে ফোনের দরকারি জিনিস তা আমরা জানি। আর এর সঙ্গে এখন ফোনের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সঙ্গে ওয়ারলেস চার্জিং প্রযুক্তি ফোনের বড় আর শক্তিশালী ব্যাটারি গুলিকে চার্জ করার সময় কম নেয়। আর এর জন্য ফোনের ব্যাটারি সঙ্গক্রান্ত ঝামেলাও কম হয়।
ক্যামেরা
এখন ফোন কেনার আগে ফোনের ক্যামেরা কত আমরা তা দেখে নি। আসলে ফোনের ক্যামেরা কেমন হবে তা তার লেন্স আর মেগাপিক্সলা আর রেজিলিউশানের ওপরে নির্ভর করে। তাই ফোন কেনার আগে আর যদি আপনাদের ফোনের ক্যামেরা বা ক্যামেরা দরকারি হয় তবে ফোন কেনার আগে ফোনের ক্যামেরার ডিটেল দেখে নিতে ভুলবেন না।