বিশ্বের সেরা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), যেখানে পদে পদে উড়ে টাকা। আকর্ষণীয় এই লিগের অংশ হতে চাইবেই না বা কে? আয়োজকরাও তাই মুখিয়ে থাকে এই ‘টাকার খনি’র প্রতিযোগিতা আয়োজনে। করোনার তাণ্ডবে গোটা ভারত যেখান নাকাল সেই পরিস্থিতিতেও আইপিএল চালিয়ে নিচ্ছিলো ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে আইপিএল।
করোনার বাড়তে থাকা সংক্রমণের মাঝেই চলছিল আইপিএলের ১৪তম আসরের খেলা। মাঠেও গড়িয়েছিল ২৮ ম্যাচ। সাকিব আল হাসান-মুস্তাফিজুর রহমানরা খেলেছেন নিজ নিজ দলের হয়ে একাধিক ম্যাচ। তবে করোনায় দিল্লিসহ গোটা ভারতে যেভাবে হু হু করে বাড়ছিল সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা, তার মধ্যে আইপিএল সামনে এগিয়ে যাওয়া নিয়ে রীতিমতো তোপের মুখেই ছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
তবে এই ফ্র্যাঞ্জাইজি টুর্নামেন্ট সবথেকে বড় ধাক্কাটা খায় সোমবারে (৩ মে)। প্রথম দল হিসেবে করোনা আঘাত হানে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। দলটির দুই ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হলে স্থগিত করে দেয়া হয় বেঙ্গালুরু ও কলকাতার ম্যাচ। এরপর করোনা হানা দিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরেও। কোন ক্রিকেটার আক্রান্ত না হলেও দলটির বোলিং কোচ বালাজি ও তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়।
এই ধারাবাহিকতায় বুধবারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চেন্নাই-রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচও স্থগিত করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। তবে ম্যাচ বাতিল নয়, করোনার দাপটে গোটা টুর্নামেন্টই স্থগিত করতে হলো বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাবান ক্রিকেট বোর্ডকে।
এখন কথা হচ্ছে, আদৌ কি এ বছর আইপিএল আয়োজন সম্ভব? কারণ এপ্রিল-মে’র এই সময়টা আইপিএল ক্যালেন্ডার হিসাব করে ইন্টারন্যাশনাল সূচি ঠিক করে রাখা হয়। এখন যেহেতু আইপিএল হচ্ছে না, সেহেতু পরবর্তীতে আয়োজন করতে চাইলে বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে। কারণ তখন দেখা যাবে, ওই খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের সূচি আছে।
যদিও তাৎক্ষণিকভাবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ অফিসিয়িালি কিছু জানাননি। কতদিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেনি বিবৃতিতে।
করোনা মহামারীতে মৃত্যুর মিছিল ভারতে। এরমধ্যে আইপিএল চালিয়ে নেওয়ায় বিসিসিআইয়ের কঠোর সমালোচনা হয়েছে। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে ছিল।