সুন্দরের পূজারী মানুষ। আর এই সৌন্দর্যই সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সেই কেন্দ্রেই যদি আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান সেটি অব্যশই পরম পাওয়ার বিষয় বটে। বলছি, মডেলিং এর কথাই। যে পেশায় রয়েছে সুনাম, সুখ্যাতি। আছে উন্নত জীবনযাপনের নিশ্চয়তা।
মডেলিংয়ে পেশার কথা নিয়ে যারা ভাবছেন, তারা হয়তো কেট মোস, গিসেল বুন্দচেন ও নাওমি ক্যাম্পবেলের মতো উচ্চ ফ্যাশন সুপার মডেলদের অনুকরণে কথাও ভাবছেন। এই সুপারস্টাররা নিজস্ব টিভি অনুষ্ঠানে তারকাচিহ্নিত হয়, ব্র্যান্ডের কসমেটিক কোম্পানির পরিচিত মুখ হয় ও ফুটবল তারকা বিয়ে করে।
বাণিজ্যিক মডেল হিসাবে কাজ করার জন্য আপনাকে আপনার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একটি এজেন্সির প্রয়োজন। এজন্য প্রাথমিক মডেলিং এজেন্ট ও স্কাউটগুলোতে কিছু মৌলিক ফটো প্রেরণ করা উচিত, যাারা আপনার বিশেষ চেহারাটি মূল্যায়ন করতে পারে এবং আপনি মডেলিংয়ের জন্য উপযুক্তও কি না তা বিবেচনা করতে পারেন।
আর সে পর্যন্ত যেতে আপনাকে কিছু ধাপ পেরুতে হবে। ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্ট যা কিনা এই যাত্রার প্রথম ধাপ। যা আপনার পোর্টফলিওকে আকৃষ্ট করবে ও নজর কাড়বে প্রতিষ্ঠানের। ক্যারিয়ারের এই পথে আপনি কোন দিকে হাটবেন তা বেছে নিতে হবে শুরুতেই। যা আপনার পোর্টপোলিও তৈরিতে যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। যেমন- কমার্শিয়াল মডেলের জন্য আপনার উচ্চতা, বয়স কিংবা দেহগঠন আকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আবার প্রমোশোনাল মডেলরা বিভিন্ন বাণিজ্যিক শোতে কাজ করে এছাড়া অন্যান্য ইভেন্টের জন্য আপনার সৌন্দর্য একেকভাবে প্রাধান্য পায়।
পোর্টফলিও তৈরিতে একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের সহায়তা নিতে হবে, যিনি আপনার সৌন্দর্যকে ছবির ভাষায় উপস্থাপন করে, যেখানে আপনাকে দেখে মনে হবে কোনো এক মায়াবতী। এরপর সেখান থেকে সেরা ছবিগুলো পোর্টফলিওর জন্য বেছে নেবেন। এরপর সিভিতে নিজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংযোগ করতে হবে। আগের কাজের কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে সেটি ফোকাস করার চেষ্টা করবেন। তুলে ধরবেন আপনার বহুমুখি কাজের ধরন, যা এজেন্সিগুলো প্রাধান্য দেয়।
একটি মডেল একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ হতে হবে। তারা সামাজিক মিডিয়া, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র এবং আরো অনেক কিছুতে নেভিগেট করতে সক্ষম হবে।