তরুণ চাকরিপ্রত্যাশীদের এখন এক নাম বিসিএস! এজন্য লক্ষ্যটাও থাকা চাই অটুট। স্বপ্নের এই বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন অনেকেই কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে এই সোনার হরিণকে আর পাওয়া হয় না। প্রস্তুতিটা যদি একটু গোছানো হয় তাতেই পেতে পারেন কাঙ্খিত ফল।
করোনায় গত বছর বিসিএস পরীক্ষা না হলেও এবছর রয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) ব্যাপক পরিকল্পনা। ইতোমধ্যে হয়ে গেছে ৪২তম স্পেশাল বিসিএস। আর মার্চের ১৯ তারিখে অনুষ্ঠেয় হচ্ছে ৪১ তম বিসিএস। যেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার। এদিকে চলছে ৪৩ তম বিসিএসের আবেদন প্রক্রিয়া, যেটির সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। যদিও ৩৮ তম বিসিএসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ হতে ৩ বছর সময় লেগেছে। কিন্তু এখন থেকে এক বছরের মধ্যেই সব কার্যক্রম শেষ করতে চায় পিএসসি।
ক্যারিয়ারের সিদ্ধান্তটা যদি থাকে বিসিএসে, তবে সময় নষ্ট না করে চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করুন এখন থেকেই, পরিকল্পনাটাও সাজান সুন্দরভাবে। কিন্তু বিসিএস পরীক্ষা দীর্ঘমেয়াদি তাই পরিকল্পনাটাও হতে হবে দীর্ঘতর। আপনি যদি এটার প্রস্ততি নিতে নিতে ২ মাস পর ছেড়ে দিয়ে বলেন অন্য চাকরির প্রস্তুতি নেবো, তাতে আপনার সময় ও মেধার অপচয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যা কিছু সিদ্ধান্ত নেবেন ভেবে চিন্তেই নেবেন।
ইদানিং ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়াকে সম্মানজনক ধরা হলেও এসব বিষয়ে পড়া অনেক শিক্ষার্থীও বিসিএস ক্যাডারের চাকরি করছেন। পেশা হিসেবে ক্যাডার বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে তারা মূলত ভালো বেতন ও চাকরির নিশ্চয়তার কথা বলছেন। আর প্রশাসনিক ক্যাডারে চাকরি হলে ধারাবাহিক পদোন্নতি, ড্রাইভারসহ গাড়ি সুবিধা, বাংলাে বা সরকারি কোয়ার্টারে থাকা, বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা, অবসরের পর পেনশন, ভাতাসহ আরও নানা সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থাকে।এছাড়া আলাদা অফিস কক্ষ, ব্যক্তিগত সহকারী ও সরকারি চাকুরীজীবী হিসেবে সম্মান তো আছেই।
নিজেকে গুছাবেন যেভাবে: প্রথমেই বিসিএসের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার সিলেবাস ভালো করে বুঝে নেবেন, এরপর কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করবেন তা সাজাবেন। বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো বিশেষ করে প্রিলির প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ পড়বেন। লিখিত প্রশ্নগুলো দেখবেন। বাছাই করে ক্লাস সিক্স টু টেনের বোর্ড বই পড়বেন। উচ্চমাধ্যমিিকে কম্পিউটার ও পৌরনীতি পড়বেন তবে অব্যশই ধীরে ধীরে ও বুঝে বুঝে। সম্ভব হলে একাডেমিক কোচিংয়ে পড়ান বা টিউশন করান। সেটা একটি বা দুটি। বাংলা, বিজ্ঞান, ইংরেজি ও গণিত পড়ান। নিজেরও কাজে লাগবে। সঙ্গে সঙ্গে কথা বলার জড়তা কাটবে, যা ভাইভায় কাজে লাগবে।প্রিলির জন্য বিষয় ধরে গাইড পড়া শুরু করুন। প্রতিটি বিষয়ের জন্য একটি করে গাইড হলেই যথেষ্ট। সাধারণ জ্ঞানের বিষয়গুলো একটু পরে পড়া উত্তম। কারণ, তা অনেক পরিবর্তিত হয়। কোনো বিষয়ে দুর্বল থাকলে তা প্রথম থেকেই ভালো করে পড়া উচিত। দৈনিক পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করুন প্রথম বর্ষ থেকেই। ধীরে ধীরে ইংরেজি শব্দের অর্থও পড়া শুরু করুন। কারণ, তা সহজে আয়ত্তে আনা যায় না। পড়ার সময় তাড়াতাড়ি বই শেষ করার চেষ্টা করবেন না। বিষয়টির গভীরে ঢোকার চেষ্টা করুন। ধারণা পরিষ্কার থাকলে যেকোনো আকারে লিখতে পারবেন।
এলএইচএ/বিবাজ