সব

ভ্রমণে ছন্দ আসুক ভালবাসার স্বাক্ষরে!

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১৭:২০

তাজমহল- শব্দটিতেই লুকিয়ে আছে প্রেম নিমন্ত্রণপত্র। শ্বেতপাথরের বিশাল অট্টালিকায় ভালবাসার এক অনন্য নিদর্শন হয়ে ভারতের আগ্রায় যমুনা নদীর তীরে ঐশ্বর্যের প্রতীকীরূপে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রতিটি পাথরে যেন লুকিয়ে রয়েছে এক নারীর চোখের গল্প ও জীবন কাহিনী। সপ্তদশ শতকে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার প্রয়াত স্ত্রী মুমতাজ মহলের স্মৃতির উদ্দেশে গড়ে তোলেন রাজকীয় এই সমাধিস্তম্ভ।

মুঘল আমলের অনন্য কীর্তি এই তাজমহল। সম্রাট শাহজাহানের চতুর্থ স্ত্রী মমতাজকে স্মরণ করে এটি স্থাপিত হয়। ১৬৩১ সালে ১৪তম মেয়েকে জন্ম দিতে গিয়ে মমতাজের মৃত্যুর পর মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত হয় এই স্থাপনা। ১৬৩২ সালে নির্মাণ কার্যক্রম শুরু ও ১৬৫৩ সালে তা সমাপ্ত হয়। ইতিহাসবেত্তাদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক থাকলেও প্রকৃতপক্ষে উস্তাদ আহমেদ লাহুরির তত্ত্বাবধানে প্রায় ২ হাজার পারস্য,তুর্কি অটোমান ও ইউরোপের সুনিপুণ নকশাকার এবং কারিগররা পারস্য ও মুঘল স্থাপত্যের ভিত্তিতে প্রেমের এই উজ্জ্বল নিদর্শন নির্মাণ করেন।

প্রায় ৪২ একর জায়গায় নির্মিত তাজমহল কমপ্লেক্স প্রধানত ৫ ভাগে বিভক্ত- প্রবেশের ফটক, বাগান, মসজিদ, অতিথিশালা ও চারটি মিনার নিয়ে তৈরি সম্রাজ্ঞী মমতাজের সমাধিসৌধ। এর মূল চত্বর সুরক্ষিত দুর্গের মতো তিন দিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। প্রাচীরের বাইরে রয়েছে সম্রাট শাহজাহানের অন্য ৬ জন স্ত্রী ও মমতাজের প্রিয় পরিচারিকাদের সমাধি। প্রাচীরের ভেতরের দেয়ালগুলো নকশা আঁকা রয়েছে। এসব প্রাচীর দিয়ে গম্বুজাকৃতির স্থাপত্য গড়ে তোলা হয়েছে যা বর্তমানে মিউজিয়াম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে প্রবেশ করার ফটক মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এখানে রয়েছে মসজিদ ও অতিথিশালা যা পর্যটকদের মুঘলদের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়।

তাজমহল চত্বরের সামনের দিকে রয়েছে একটি ‘চারবাগ’। গোটা বিশ্বের মানুষ যাকে স্বর্গের বাগান হিসেবে চেনে। ১৬টি ফুলের বাগানে রয়েছে চলাচলের রাস্তা ও নয়নাভিরাম ঝরনা। মুমতাজ মহলের প্রকৃত সমাধিতে ক্যালিগ্রাফিক শিলালিপি হিসেবে আল্লাহর ৯৯টি নাম রয়েছে। তাজমহল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করতে কাজে লাগানো হয় প্রায় একহাজার হাতি। ভারতের পাঞ্জাব, রাজস্থান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, চীন, তিব্বত ও আরব দেশ থেকে আনা হয়েছিল তাজমহল নির্মাণের উপকরণ। তাজমহলের গায়ে রয়েছে ২৮ ধরনের মূল্যবান রত্নের সমাবেশ। দিনের বিভিন্ন সময় ও পূর্ণিমা রাতে তাজমহল নানান রঙ ধারণ করে। তাজমহল কমপ্লেক্সে ঘোরাঘুরির সময় দেয়ালের পুরোটা জুড়ে কোরআনের বিভিন্ন আয়াত চোখে পড়বে।
তাজমহল থেকে এক মাইল দূরে যমুনা নদীর ডান দিকে আগ্রা কেল্লা অবস্থিত। মুঘল শাসনের প্রথমদিকে সৈন্যরা এখানে অবস্থান করলেও পরবর্তীতে মুঘল রাজপরিবারের নানা কর্মকাণ্ডের স্থান হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের তালিকায় তাজমহল অন্যতম। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত মুঘল আমলের এই স্থাপনায় রয়েছে ইসলামিক, ফারসি ও ভারতীয় স্থাপত্যের এক অপূর্ব মিশ্রণ।

মনভোলানো ভোলা

ভ্রমণ তালিকায় ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ

ভ্রমণে বর্ষা উপভোগ (পর্ব-১)

বর্ষায় ভ্রমণ হোক সুনামগঞ্জে

ইনানির ছোঁয়া

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ