সব

বর্ষায় গাছ পরিচর্যা

আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২১, ১৭:৩৫


ঘরের সামনে একফালি সবুজ নিমেষে আপনার মন ভালো করে দিতে পারে। সারাদিনের ক্লান্ত অবসন্ন শরীর-মন নিয়ে যখন আপনি ঘরে ফেরেন, তখন এই সাধের সবুজ গেরস্তালিই আপনার মনে বুলিয়ে দিতে পারে শান্তির পরশ। তাই অবসর পেলেই গাছের একটু যত্নআত্তি করুন। বিনিময়ে পান ফ্রেশ অক্সিজেনের আবিরাম জোগান। বর্ষায় ক্ষতির হাত থেকে বাগানকে রক্ষা করতে উপস্থাপন করা হলো কিছু টিপস।

গাছকে ছায়ায় রাখা :বর্ষাকালের অতিবৃষ্টি কিছু কিছু গাছের জন্য অনেক ক্ষতি বয়ে আনে। ক্যাকটাস বা সাকুলেন্ট সদস্যদের গাছ বেশি পানি সহ্য করতে পারে না, তাই এদের খোলা আকাশের নিচে না রাখাই ভালো। এই জাতীয় গাছগুলোকে কোনো শেডের তলায় নিয়ে গিয়ে রাখতে হবে। অথবা ছাদের একটা পাশে নিয়ে গিয়ে তার ওপরে টিন বা এ জাতীয় কিছু দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। শেডের সুবিধা না থাকলে চারাগুলো বারান্দার কোণে বা ঘরের জানালার কাছেও রাখতে পারেন।

পানি নিস্কাশনের সুব্যবস্থা রাখা :সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গাছে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। গাছের গোড়ায় যেন বৃষ্টির পানি না জমে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যে কোনো ঘরোয়া গাছের জন্য এমন টব বা পাত্র বাছাই করা দরকার, যেটায় পানি নিস্কাশনের জন্য প্রয়োজন মতো ছিদ্র থাকে। ইদানীং বড় বড় ড্রাম ব্যবহার করা হয়। এই ড্রামগুলোতে যেন নির্দিষ্ট পরিমাণ ছিদ্র থাকে, তা খেয়াল রাখা জরুরি। খোলা জায়গায় বাগান থাকলে যাতে সেখানে পানি না জমে সেদিকে নজর দিতে হবে।

মাটির ক্ষয় রোধ :অনেক সময় দেখা যায়, বর্ষার পানিতে মাটির ওপরের স্তর ধুয়ে যায়। এর সঙ্গে মাটির সার, উর্বর অংশটুকুও ধুয়ে সাফ হয়ে যায়। ফলে গাছ পানি পেলেও পুষ্টি পায় না। তাই গাছের কাণ্ড থেকে প্লাস্টিক বেঁধে টবের মাটি ঢেকে রাখতে পারেন। তবে অস্বচ্ছ আবরণের পরিবর্তে পারফোরেটেড শিট দিয়ে টবের ওপরটা ঢেকে দিতে পারেন। এতে বৃষ্টির পানি চুয়ে চুয়ে মাটিকে পুষ্ট করবে। এঁটেল মাটি বেশি ব্যবহার করতে পারেন। এই মাটি খুব তাড়াতাড়ি পানি টেনে নেয়।

পরুনিং :বর্ষায় অনেক গাছই খুব ঝাঁকড়া হয়ে যায়। ফলে একনাগাড়ে অনেক দিন বৃষ্টির পর মাঝে মাঝে রোদ উঠলেও গাছের সব জায়গায় সেই রোদ পৌঁছায় না। বিশেষ করে শিকড়ে রোদ, অক্সিজেন না পৌঁছলে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। তাই গাছের ডাল ছেঁটে দিতে হবে। ফুলের গাছে যে ডালে ফুল শুকিয়ে যাবে, তা কেটে দিতে পারেন। তা হলে সেখান থেকে আবার নতুন কুঁড়ি জন্মাবে।

কেঁচোর কারবার :বর্ষায় কেঁচোর আনাগোনা বাড়ে। তবে এরা বন্ধু কীট। মাটি খুঁড়ে যেমন মাটি উর্বর করে, তেমনই নাইট্রোজেনের জোগান দিয়েও গাছকে পুষ্টি দেয়। তাই কোনো গাছের গোড়ায় যদি দেখেন একাধিক কেঁচো জমা হয়েছে, তাদের তুলে অন্যান্য গাছের টবে সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে পারেন। এতে সব গাছেরই উপকার হবে।

কীটনাশক :বর্ষার আর্দ্র পরিবেশে পোকামাকড়ের আক্রমণ বাড়ে। নতুন পাতার রস খেতেও এরা গাছে জড়ো হয়। তাই বর্ষার শুরু থেকেই কীটনাশকের ব্যবহার শুরু করতে হবে। প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবে নিমের তেল, গোলমরিচ গুঁড়া, শুকনো মরিচের গুঁড়া দিতে পারেন গাছের গোড়ায়। এতেও কাজ না হলে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।

সার প্রয়োগ :যেহেতু বর্ষার পানিতে ওপরের স্তরের মাটি অনেকটাই ধুয়ে যায়, তাই গাছে সার দিতে হবে নিয়মিত। এ সময়ে গলা-পচা সারের তুলনায় শুকনো সারের ওপর ভরসা রাখাই ভালো। চায়ের পাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে, ডিমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে দিতে পারেন।

বর্ষায় পানীয় খাবার

বর্ষায় চুলের যত্ন

শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে নীলের পরত

বর্ষায় নিজেকে রাখুন সতেজ

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ