আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত‘রেহানা মরিয়ম নূর’ছবিটি ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘আঁ সার্তেঁ রিগা’ বিভাগে উদ্বোধনী ছবি হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে যারা সাধারণ দর্শক হিসেবে অংশ নেন তারা প্রতিটা ছবির শো শেষে ওই ছবি নিয়ে নানা রকম মন্তব্য করেন। পরিচালক, অভিনেতা, প্রযোজক যাকেই কাছে পান তাকে গিয়ে তার ছবি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। কিন্তু কানের ইতিহাসে খুব কম ছবির ক্ষেত্রেই এমনটা হয়েছে। পুরো হল ভর্তি দর্শক ছবি শেষে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো। দাঁড়িয়ে মুহু মুহু করতালিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন। যাকে বলা হয় স্ট্যান্ডিং ওভেশন।
প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের একজন শিক্ষক রেহানা মরিয়ম নূরকে কেন্দ্র করেই এই সিনেমার গল্প। যেখানে রেহানা একজন মা, মেয়ে, বোন ও শিক্ষক হিসেবে জটিল জীবনযাপন করে। এরমধ্যে এক সন্ধ্যায় কলেজ থেকে বেরোনোর সময় রেহানা একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার সাক্ষী হয়। এরপর থেকে সে এক ছাত্রীর পক্ষ হয়ে সহকর্মী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করতে শুরু করেন এবং ক্রমশ একরোখা হয়ে ওঠেন। কিন্তু একই সময়ে তাঁর ০৬ বছর বয়সী মেয়ের বিরুদ্ধে স্কুল থেকে রূঢ় আচরনের অভিযোগ করা হয়। এমন অবস্থায় অনড় রেহানা তথাকথিত নিয়মের বাইরে থেকে সেই ছাত্রী ও তাঁর সন্তানের জন্য ন্যায় বিচারের খোঁজ করতে থাকেন।
পোটোকল ও মেট্রো ভিডিও’র ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সিঙ্গাপুরের প্রযোজক জেরেমী চুয়া, নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু এবং সহ-প্রযোজনা করেছেন রাজীব মহাজন, আদনান হাবিব, সাঈদুল হক খন্দকার। ছবিটির সিনেমাটোগ্রাফার তুহিন তমিজুল, প্রোডাকশন ডিজাইনার আলী আফজাল উজ্জল ও সাউন্ড ডিজাইনার শৈব তালুকদার। ছবিটি সহ-প্রযোজনা করেছে সেন্সমেকারস প্র্রডাকশন।
ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন আফিয়া জাহিন জাইমা, কাজী সামি হাসান, আফিয়া তাবাসসুম বর্ন, ইয়াছির আল হক, সাবেরী আলমসহ অনেকে। ইতিমধ্যে ছবিটির ইন্টারন্যাশনাল সেলসের জন্য জার্মান ভিত্তিক সেলস্ এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ফিল্মস বুটিক চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।