গরমে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অস্বস্তিতে ভোগেন অনেকেই। সেই সাথে হজমেরও সমস্যা হয়। খাবারে একটু এদিক সেদিক হলেই হতে পারে পেটের সমস্যা। এসময় খাবারের বিষয়ে হতে হবে বিশেষ সতর্ক। এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
মশলাদার খাবার
মশলাদার খাবার খেতে পছন্দ করেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। খেতে যতই সুস্বাদু লাগুক না কেন, এ ধরনের খাবার গরমে পেটের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। অতিরিক্ত ঝাল ও মশলাদার খাবার খেলে তা শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ ধরনের খাবারে থাকে ক্যাসেসিন নামক উপাদান। ফলে বেড়ে যায় তাপমাত্রা। তাই এ ধরনের খাবার খেলে শরীরের আর্দ্রতা কমে। যে কারণে দেখা দেয় হজমের সমস্যা। সেখান থেকে গ্যাস্ট্রিক, বুক ও গলা জ্বলার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই গরমে অতিরিক্ত মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
লবণ
লবণে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড। এই উপাদান খাবারের স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে। সুস্থ থাকার জন্য পরিমিত লবণ খাওয়া জরুরি। তবে কেউ অতিরিক্ত লবণ খেলে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। বিশেষ করে হৃদরোগ ও রক্তচাপের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। সেইসঙ্গে রয়েছে শরীর শুকিয়ে যাওয়া ও কিডনির নানা সমস্যা দেখা দেওয়ার ভয়। এর কারণ হলো, অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি বের হয়ে যায়। ফলে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা। শুধু গরমের সময় নয়, সারা বছরই অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
আচার
জিভে জল আনে যেসব খাবার তার মধ্যে একটি হলো আচার। টক, ঝাল, মিষ্টি নানা স্বাদের হয়ে থাকে এটি। আচার খেলে পাওয়া যায় নানা উপকারিতাও। কিন্তু গরমের সময়ে আচার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর মূল কারণ হলো আচারে থাকে অতিরিক্ত সোডিয়াম। তাই আচার খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। সেইসঙ্গে বার বার তৃষ্ণা পাওয়া এবং পেটের নানা সমস্যাও হতে পারে। তাই আচার যতই পছন্দের হোক, গরমে এড়িয়ে চলাই উত্তম।
জাঙ্ক ফুড কোনো সময়ের জন্যই উপকারী নয়। তবু এ ধরনের খাবার অনেকটা বাধ্য হয়ে খেতে হয় অনেককে। অনেকে আবার শখ করে খেয়ে থাকেন। লোভনীয় স্বাদের কারণে বেশিরভাগ শিশুর কাছেও এগুলো পছন্দের খাবার। গরমের সময়ে এ ধরনের খাবার থেকে পুরোপুরি দূরে থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এ ধরনের খাবারে থাকে অত্যাধিক মশলা ও তেল। এসব উপাদান শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করতে পারে। তাই গরমে এ ধরনের খাবার খেলে বার বার তৃষ্ণা লাগে, দেখা দিতে পারে হজমের সমস্যাও।
চা ও কফি
দিনে বেশ কয়েকবার চা কিংবা কফি পান করার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এ জাতীয় পানীয়র আছে অনেক উপকারিতাও। কিন্তু উপকারী হলেও এ ধরনের পানীয় গরমে পান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। চা হোক বা কফি, দিনে এক কিংবা দুই কাপের বেশি পান করা উচিত নয়। এতে শরীরে অনেক বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। গরমে এ ধরনের পানীয় শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই গরমে চা ও কফি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।