স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। সেটা হোক শারীরিক অথবা মানসিক। এটি সুস্থ রাখা জরুরী। কিন্তু আমরা হয়তো এটাতেই সবচেয়ে বেশী উদাসীন। মানসিক স্বাস্থের বাপারটা বরাবরই আমাদের কাছে উপেক্ষিত। কিন্তু এটাতেই আমাদের সবচেয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত। মানসিক অস্থিরতাকে আমরা আল্লাদ ,ঢং এই রকম বিভিন্ন রকম নাম দিয়ে থাকি। কিন্তু এই বিষয় গুলো যখন আমরা ফেস করি তখন এই কথা গুলোই আমাদের দিকে ফিরে আসে।
উদ্বিগ্নতা, অস্থিরতা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ইত্যাদি এই সমস্যার অন্যতম লক্ষণ। পৃথিবীতে স্বাস্থ্য সমস্যার অন্যতম ভয়ানক দিক হলো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা।
অস্থিরতা, অতিরিক্ত চিন্তা করা, ইনসমনিয়া,প্যানিক ডিজর্ডার, অতিরিক্ত ক্ষুধা অথবা একদম খেতে না চাওয়া, অতিরিক্ত ঘুম, এই গুলো খুব সাধারণ মনে হলেও এগুলোই মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।
মানসিক স্বাস্থ্য যে কারণে গুরত্বপূর্ণ
সুস্থ ভাবে বাঁচার জন্য মানসিক স্বাস্থের কোনো বিকল্প নেই।
শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্যও মানসিক স্বাস্থ্য জুরুরী ।
কোনো কিছু ভালো ভাবে চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতেও জরুরী।
সবার সাথে সুসম্পর্ক রাখতে সাহায্য করে।
আত্মহত্যা এবং অপরাধ প্রবণতা কমায়।
আত্মমর্যাদা এবং আত্মোপলব্ধি বাড়িয়ে দেয়।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
নিয়মিত ব্যায়াম ও ইয়োগা করুন। এটি শারীরিক ও মানসিক সব দিক দিয়েই আপনাকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
এমন মানুষদের চলাফেরা যাদের সাথে থ্যাকতে আপনার ভালো লাগে।
কোথাওথেকে ঘুরে আসতে পারেন।
নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।
ল্যাপটপ মোবাইল এমন ডিভাইস গুলো যতটা কম ব্যবহার করা যায় তত ভালো।
বর্তমানকে গুরুত্ব দিন. কি হয়েছে অথবা কি হবে তা নিয়ে না ভাবা উচিত. অরিরিক্ত চিন্তা মানুষ ক ভালো থাকতে দেই না।
কম বেশি মানসিক চাপে আমরা সবাই থাকি। কিন্তু যখন তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন তা আমাদের ক্ষতি করে। নিজের চেষ্টাই পারে এমন কিছু থেকে নিজেকে দুরে রাখতে। আমাদের জীবন কে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার কোনো বিকল্প নেই। নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যত্নশীল হোন এবং উপভোগ করুন ছোট্ট এই জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত।