সব

রোজায় কেমন খাবার চাই

আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৫৫

করোনায় যখন স্থবির জীবন, মনে যখন ভয় আর নানা আতঙ্ক। জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়াতেও নানা নিষেধাজ্ঞা। এমন সময়ে শুরু হবে মুসলমানদের সিয়াম-সাধনার মাস, পবিত্র রমজান মাস। রোজায় ইবাদতের পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবে খাদ্যাভ্যাসে আসে বড় পরিবর্তন। সেহরি, ইফতার ও রাতের খাবারে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর সব খাবার। শিশু, বয়স্ক কিংবা ক্রনিক অসুখে ভুগছেন এমন কারও প্রতি হতে হবে বেশি যত্নশীল।

সেহরিতে কী খাবেন

ঘুম ভেঙে খেতে হয় বলে সেহরিতে খুব একটা খাওয়ার রুচি থাকে না। তারওপর পেট ও শারীরিকভাবে যাতে সমস্যা না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয়। বেশি ফাইবারযুক্ত খাবার ও কম তেল-মশলায় রান্না করা খাবার খেতে পারলে বেশি ভালো হয়। এতে করে দিনের সময়টা ক্ষুধা কম লাগবে এবং সতেজ অনুভব করবেন। সেহরিতে ভাতের সঙ্গে অল্প মশলায় রান্ন করা তরকারি, মুরগির মাংস, ডাল ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। খাবারের শেষে এক বাটি দই খেতে পারেন। সেইসঙ্গে কয়েকটি খেজুর খেলে সারাদিন ক্ষুধার অনুভূতি কম হবে।

ইফতারে আয়োজন

সারাদিন খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকার কারণে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়। এজন্য ভাজাপোড়া বা অতিরিক্ত মশলাদার খাবার না খেয়ে সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। মাগরিবের নামাজের আগে হালকা কিছু খেয়ে রোজা ভেঙে নিন। নামাজের পরে বাকি খাবার খান। এতে হজম সহজ হবে। স্যুপ, ছোলা, সবজি, সালাদ, খেজুর, মুড়ি, ডিম, ফলের রস, লাচ্ছি, ডাবের পানি, ফল এসব খাওয়া যেতে পারে। আরেকটু ভারি খাবার চাইলে হালিম, মোমো, নুডলস, কাস্টার্ড ইত্যাদি খেতে পারেন।

রাতের খাবার কেমন হওয়া উচিৎ

রাতের খাবার যতটা সম্ভব হালকা রাখার চেষ্টা করুন। সেহরির মতোই ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে মাছ বা মুরগির মাংসা, সবজি, সালাদ ইত্যাদি খেতে পারেন। ইফতারে ভারি খাবার খেলে রাতের খাবারে হালকা কিছু খেতে পারেন। খাওয়ার ইচ্ছে না হলে জোর করে খাবেন না। অল্প-স্বল্প ক্ষুধা পেলে একগ্লাস দুধ বা একবাটি দই খেতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার

রোজার সময়ে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের কারণে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ার ভয় থাকে। তাই খাবার এমনভাবে খেতে হবে যেন ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইফতারে ফলের রস, ডাবের পানি, ছোলা, সালাদ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। রাতের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। অল্প হলেও খেতে হবে। রাতে কতটুকু ভাত খেতে পারবেন তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন। ইফতারে একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে বিরতি দিয়ে ভাগ ভাগ করে খান। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে দিনের ওষুধগুলো পরিবর্তন করে রাতে গ্রহণ করুন।

গর্ভবতীর জন্য খাবার

অনেক গর্ভবতী রোজা রেখে থাকেন। তাদের ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা জরুরি। এসময় এসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সহজে হজম হয় এমন খাবার খেতে হবে। পান করতে হবে প্রচুর পানি। খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেতে হবে, কোনোরকম তাড়াহুড়ো করা যাবে না। যেসব খাবারে হবু মা ও গর্ভস্থ শিশুর শরীর ভালো থাকবে, তাই খেতে হবে।

ইভ্যালিতে কোরবানির গরু

ঈদে পারস্যের পোলাও

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ