সব

মানি হেইস্টের পরিণতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে?

আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:৪৬

 

আজ ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত ‘মানি হেইস্টে’র পঞ্চম সিজন। মানি হেইস্ট নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে বেশি দেখা সিরিজ। যারা আগের চারটি সিজন দেখেছেন, তারা জানেন মানি হেইস্টের প্রতিটি সিজন কত জমজমাট, রুদ্ধশ্বাস। সিজন ফোরের শেষটা ছিল হাড় হিম করে দেয়া। মাস্টার মাইন্ড প্রফেসর এই প্রথম ধরা খেয়েছেন ক্ষ্যাপাটে নির্দয় পুলিশ অফিসার আলিসা সিয়েরার হাতে। চতুর্থ সিজনের শেষ কথাটাও ছিল আলিসার। প্রফেসরের উদ্দেশে যা বলেছিল, তার ভাষান্তর করলে দাঁড়ায়, ‘তোর খেল খতম সান অব বিচ।’ এ অবস্থায় চতুর্থ সিজন শেষ হয়ে যাওয়া মানে দর্শকদের জ্বলন্ত উনুনের ওপর বসিয়ে রাখা। এরপর কী হবে? প্রফেসর কী বাঁচবেন? প্রফেসর না বাঁচলে তার গ্যাংয়ের কী হবে? হাজারো প্রশ্ন উড়ে বেড়াচ্ছে প্রায় দুই বছর ধরে। করোনার কারণে পঞ্চম সিজন আসতে বিলম্ব হয়েছে। অবশেষে আজ পঞ্চম সিজনের প্রথম ভলিউম মুক্তি পাচ্ছে। একটি সূত্রে জানা গেছে প্রথম ভলিউমে থাকবে পাঁচটি এপিসোড।


চতুর্থ সিজন শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কী আছে প্রফেসরের ভাগ্যে। নানাজন দিচ্ছে নানা মত। এসব মতামতের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে সিজন ফাইভে কে মারা যাবে? ডাকাত দলের প্রতিটি ক্যারেক্টারকে অসম্ভব পছন্দ করে দর্শকরা। তার পরও একের পর এক মারা যাচ্ছে গ্যাংয়ের সদস্যরা। প্রথম দুই সিজনে অসলো, মস্কো আর বার্লিনের মৃত্যু কাঁদিয়েছে ভক্তদের। বিশেষ করে বার্লিনের মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারেনি। গ্যাংকে বাঁচাতে বার্লিন নিজেকে আত্মাহুতি দেয়। বাকি দুজন মারা পড়ে পুলিশ ও জিম্মিদের হাতে। চতুর্থ সিজনে নাইরোবির মৃত্যু মেনে নেয়ার মতো দর্শক খুঁজে পাওয়া কঠিন। অনেকেই নির্মাতাকে গালাগাল করেছে। এখন পর্যন্ত যারা টিকে আছে, প্রত্যেকেই প্রচণ্ড পছন্দের চরিত্র। এদের মধ্যে কে কে মারা যাবে, তার হিসাব কষছে অনেকেই। সেসব হিসাব খুব বেশি আমলে নেয়ার মতো না হলেও একেবারে উড়িয়ে দেয়াও যায় না।


নাইরোবির মৃত্যুর পর একটা দৃশ্য দেখানো হয়। যেখানে লাল টপস পরে, মুখে ঘাসফুল নিয়ে নাইরোবি শুয়ে আছে। তার আশপাশে বার্লিন, অসলো, মস্কো। এরা সবাই বর্তমানে মৃত। এ থেকে বোঝা যায় এ সিম্বলিক দৃশ্যে যাদের দেখানো হয়েছে, তারা সবাই মৃত্যুর পেয়ালা চুম্বন করেছে। কিন্তু সমস্যা হলো, সেই সিনে ডেনভার আর প্রফেসরও ছিল। প্রফেসর সবার কী পরিমাণ প্রিয়, তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্ষ্যাপাটে ডেনভারও অনেকের প্রিয় তার বিশেষ ধরনের হাসির কারণে। প্রেমিক পুরুষ আর পাগলা ইমেজটাও তাকে ভালোবাসতে বাধ্য করে। ডেনভার দ্বিতীয় সিজনে তার বাবাকে হারিয়েছে। এ সিজনে যদি সেও মারা যায়, এটা হবে খুবই করুণ। আর ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ডাকাত বনে যাওয়া ডেনভারের স্ত্রী মনিকাই-বা কীভাবে সহ্য করবে সেটা? সিম্বলিক সেই দৃশ্যের সূত্র অনুযায়ী পঞ্চম সিজনে মরতে চলছে ডেনভার আর প্রফেসর।

প্রফেসরের মৃত্যুর পক্ষে যুক্তি আছে আরো। সিরিজের শুরুতে টোকিও যখন গল্পটা বলা শুরু করে তখন সে প্রফেসরকে ‘গার্ডিয়ান এঞ্জেল’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। তার মানে এই গল্প যখন বলা হয়েছে, প্রফেসর তখন মৃত। সেটা কি পঞ্চম সিজনেই হতে যাচ্ছে?

মৃত্যু নিয়ে আরেকটা থিউরি দিতে দেখা যাচ্ছে ভক্তদের। দ্বিতীয় ডাকাতির আগে ট্রেনিং ক্লাসের সময় একটা ফুটবল ম্যাচ হয়। সেই ফুটবল ম্যাচে নীল জার্সি পরে যারা খেলে, তাদের বেশির ভাগই মৃত। সেই নীল দল থেকে পোলার্মো, বোগোটা আর মাসালিই কেবল বেঁচে আছে। তার মানে তৃতীয় সিজন থেকে যুক্ত হওয়া প্রফেসরের আস্থাভাজন এ তিনজনও মারা যাবে?

তৃতীয় ও চতুর্থ সিজনে বার্লিন ও তাতিয়ানার বিয়ে দেখানো হয়। তাতিয়ানাও পেশাদার ডাকাত। এর আগে বার্লিনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ডাকাতিতে অংশ নিয়েছে। বার্লিন চেয়েছিল তাতিয়ানা এ দলে থাকুক। কিন্তু তাতিয়ানা আগের ডাকাতিতে তার গ্যাংয়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল বলে প্রফেসর তাকে রাখেননি। এছাড়া প্রফেসর বার্লিনকে এ ডাকাতির পরিকল্পনা তাতিয়ানাকে বলতে নিষেধ করেছিলেন। বার্লিন আগেই বলে দিয়েছিল। কেননা বার্লিন পুরোপুরি ভরসা করত তাতিয়ানাকে। আর বার্লিনের অবজারভেশন কতটা শক্তিশালী, সেটা দেখা গেছে সিরিজজুড়ে। ফলে তাতিয়ানাকে টেনে আনছে কেউ কেউ। অনেকে বলছেন, সময়মতো তাতিয়ানা আসবে এবং প্রফেসরকে বাঁচাবে। তাতিয়ানা পুরো ডাকাতির প্ল্যান আগে থেকেই জানে। তাতিয়ানার চেহারার সঙ্গে পুলিশ অফিসার আলিসার চেহারার মিল দেখাচ্ছে অনেকেই। তাদের মতে, অ্যালিসাই মূলত তাতিয়ানা। কিন্তু একজন ডাকাত পুলিশের এত বড় দায়িত্ব পাওয়া স্পেনের মতো দেশে অসম্ভব। আবার একেবারে উড়িয়েও দেয়া যাচ্ছে না এ থিউরি। কেননা মানি হেইস্টের মতো এত জমজমাট একটা সিরিজে বার্লিনের বিয়ে দেখিয়ে সময় নষ্ট করবেন না পরিচালক। নিশ্চয়ই এ নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিরাট পরিকল্পনা আছে।


আরেকটা গ্রুপ বলছে, আলিসা সিয়েরা ডাকাত দলে জয়েন করবে। কারণ পুলিশ তাকে ফাঁসিয়েছে। পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় পলিসি তাকে নিঃস্ব করেছে। তার ওপর জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। সে আসলে দরকষাকষি করে ভালো অবস্থানে থাকার জন্যই প্রফেসরকে খুঁজে বের করেছে। আরেকটা বিষয়, প্রফেসরকে পাওয়ার পর সে কিন্তু প্রফেসরকে খুন না করে ফাঁকা গুলি করেছে। তাকে আটক করেছে। এছাড়া মানি হেইস্ট সিজন ফোরের শেষে ক্রেডিট লাইন প্লে হওয়ার সময় আলিসাকে বেলা চাও গানে প্রফেসরের সঙ্গে গলা মেলাতে শোনা গেছে। এটাকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

আরেকটা থিউরিতে বলা হচ্ছে, প্রফেসরকে আটকানো অবস্থায় আলিসার লেবার পেইন শুরু হবে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় সে হাসপাতালে যেতে পারবে না। প্রফেসর তার ডেলিভারিতে সাহায্য করবে। আলিসা হয়তো মারা যাবে। প্রফেসর তার সন্তানের দায়িত্ব নেবে। এ যুক্তির পক্ষের দর্শকরা মনে করে, টোকিও পুরো গল্পটা আলিসার সন্তানকেই শোনাচ্ছে। তাহলে টোকিও কেন? কেউ কেউ বলছে, গ্যাংয়ে একমাত্র টোকিওই বেঁচে থাকবে শেষ পর্যন্ত। বাকি সব ডাকাত মারা পড়বে।

কেউ কেউ অবশ্য বলছে, টোকিও পুরো গল্পটা আলিসার সন্তানকে নয়, বরং নাইরোবির ছেলে অ্যাক্সেলকে বলছে। কেননা নাইরোবি মারা যাওয়ার সময় টোকিওকে তার সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে যায়। টিজার ঘেঁটে একদল ডাকাতের ওপর হামলাকারী সেনাসদস্যদের মধ্যে প্রফেসরের মতো দেখতে একজনকে শনাক্ত করেছে। তাদের দাবি প্রফেসর সেনাসদস্যের বেশ ধরে রাকেলদের কাছে পৌঁছবে।

তবে যে যে তথ্যই দিক না কেন, মানি হেইস্ট এমন এক সিরিজের নাম কিংবা প্রফেসর এমন এক চরিত্রের নাম, যাকে নিয়ে এক সেকেন্ড আগেও ভাবা যায় না তিনি কী করবেন? অতীতে যত বড় বিপদই হোক, তিনি বেরিয়ে এসেছেন। এবারো মুক্ত হবেন এবং পুরো টিমকে নিয়ে নিরাপদে কয়েক টন স্বর্ণ গলিয়ে বের করে আনবেন। কী হবে সেটা দেখা যাবে ডিসেম্বরে হয়তো। তবে প্রফেসরের ভাগ্যে কী আছে তা দেখতে আর খুব বেশি অপেক্ষার প্রয়োজন নেই।

‘দ্য নাইট এজেন্ট’ নেটফ্লিক্সের শীর্ষে

বলিউড পর্দায় বাঁধনের অডিশন

সাড়া ফেলছে বাংলাদেশি ওয়েব সিরিজ

নেটফ্লিক্সে নতুন সিরিজ

নেটফ্লিক্সে আপকামিং সিরিজ

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ