টেনিসের কোর্টে একসময় শাসনকর্তা ছিলেন রজার ফেদেরার। নামের সাথে জুড়ে আছে অনেক রেকর্ড- যেন রেকর্ড রাজ্য। কিন্তু সেই রাজ্যে এবার সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচের থাবা।
কিংবদন্তি রজার ফেদেরা যেন এক এক করে তার গড়া শীর্ষস্থান হারাতে বসেছে। আর রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়তে মরিয়া হয়েছেন নোভাক জকোভিচ। নতুন রেকর্ড গড়া এখন জকোভিচের জন্য অবশ্যম্ভাবী। ৩১০ সপ্তাহ শীর্ষে থাকার যে রেকর্ড ছিল এতোদিন রজার ফেদেরারের দখলে। তা গুড়িয়ে দিয়েছে জকোভিচের র্যাকেট। ওয়ার্ল্ড টেনিস অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউটিএ) র্যাংকিংয়ে সর্বোচ্চ ৩১১ সপ্তাহ শীর্ষে থাকার রেকর্ডের ইতিহাস এখন জকোভিচের দখলে।
শুধু কি তাই? ফেদেরার রাজ্য এখন রয়েছে আরও হুমকির মুখে। আরেকবার হানা দিতে ব্যস্ত জকোভিচ। আর নিজের রেকর্ড রাজ্য গড়তে দিশেহারা এখন তিনি।
২০টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে সর্বকালের সেরার আসনে রাজত্ব করেছেন সুইস তারকা রজার ফেদেরার। এদিকে ১৮টি গ্র্যান্ডস্লাম জিতে ফেদেরার সেই গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের রেকর্ড ভাঙার হাতছানি দিচ্ছে জকোভিচের র্যাকেট। ৩৩ বছর বয়সী জকোভিচ ফেব্রুয়ারিতেই ১৮তম গ্র্যান্ডস্লাম হিসেবে জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন।
আগামী আগস্টেই ৪০-এ পা দেবেন ফেদেরার। ৩৪ বছর বয়সী স্প্যানিশ তারকা রাফায়েল নাদালেরও গ্র্যান্ড স্লাম ২০টি। জকোভিচ তার চেয়ে মাত্র এক বছর কম বয়সী। এখনই তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ১৮টি গ্র্যান্ড স্লাম। চলতি বছরই হয়তো ফেদেরার এবং নাদালকে ছুঁয়ে ফেলবেন কিংবা পেছনে ফেলে দেবেন। কারণ, এখনও এই বছর তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম বাকি রয়েছে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাফায়েল নাদালের কাছ থেকে র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানটি পূনরূদ্ধার করেন জকোভিচ। এরপর থেকে টানা শীর্ষেই রয়েছেন তিনি। গত একটি বছর তিনিই থাকলেন র্যাংকিংয়ের শীর্ষে এবং ৬ষ্ঠ বার শীর্ষে থেকে বছর শেষ করলেন। এখানে এসে পিট সাম্প্রাসকে ছুঁয়ে ফেললেন জকোভিচ। মোট ৫বার র্যাংকিংয়ের শীর্ষে এসেছিলেন জকোভিচ। এর মধ্যে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা ১২২ সপ্তাহ ছিলেন শীর্ষে। যদিও এই রেকর্ডটা (টানা শীর্ষে থাকার) দখলে রয়েছে রজার ফেদেরারের। তিনি ২৩৭ সপ্তাহ টানা শীর্ষে ছিলেন।
মাত্র ৪ বছর বয়সেই এই খেলার সাথে পরিচিত হয়ে উঠেন নোভাক জকোভিচ। আর ছয় বছর বয়স থেকেই তার টেনিস ক্যারিয়ার গড়ে উঠতে শুরু করে। সেই সময়ে যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধ তার মনকে আতঙ্কিত করে তুলে কিন্তু তাতেও তিনি দমেননি। সংকল্পে ছিলেন দৃঢ় এবং ১৪ বছরেই অভিষেক ঘটান আন্তর্জাতিকভাবে। ২০০৭ সালেই ক্যারিয়ারের জ্যোতি জ্বালাতে শুরু করেন তিনি। জায়গা করে নেন বিশ্বের শীর্ষ দশের তালিকায়।