সব

স্ক্রাঞ্চির হালচাল

আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২১, ২১:০৮


অন্য সব সময়ের চেয়ে আরও বেশি জনপ্রিয়তা নিয়ে অ্যাকসেসরিজ ট্রেন্ডে ফিরে এসেছে স্ক্রাঞ্চি।

হালের টিন ফ্যাশন ম্যানিয়াক ভিস্কো গার্লের পাশাপাশি এটি এখন হেইলি বিবার, বেলা হাদিদ, কাইলি জেনার, সেলেনা গোমেজের মতো সেলিব্রিটিদের সবচেয়ে পছন্দের হেয়ার অ্যাকসেসরিজ। যতই দিন যাচ্ছে, এর জনপ্রিয়তা কেবল বেড়েই চলেছে। অতিমারির এই সময়ে কোয়ারেন্টিন হেয়ারস্টাইল ট্রেন্ডও স্ক্রাঞ্চির দখলে।

স্ক্রাঞ্চির আবির্ভাব ঘটে আশির দশকে। ১৯৮৬ সালে। স্রষ্টা রমি রেভসন। আমেরিকান নাইট ক্লাবের শিল্পী এবং পিয়ানিস্ট রেভসন প্লাস্টিক ও ধাতব হেয়ার ব্যান্ডের বিকল্প খুঁজছিলেন। এমন এক ব্যান্ড, চুলের কোনো ক্ষতি করবে না।

আশি ও নব্বইয়ের দশকে চুলের প্রতি ‘কোমল আচরণের’ জন্য এর জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়তে থাকে। সেই সময়ের বিখ্যাত সব সেলিব্রিটি যেমন ম্যাডোনা, পলা আবদুল, ডেমি মুর, জ্যানেট জ্যাকসনদের ‘গো টু’ হেয়ার অ্যাকসেসরিজ ছিল স্ক্রাঞ্চি। ‘ফুল হাউস’, ‘ফ্রেন্ডস’-এর মতো সিটকম, ‘হেদার’-এর মতো আরও অনেক ‘কামিং অব এজ’ মুভি থেকে শুরু করে সবখানে ছিল স্ক্রাঞ্চির ছড়াছড়ি।

এমনকি অলিম্পিকের ময়দানে অ্যাথলেটদের, বিশেষ করে জিমন্যাস্ট ও ফিগার স্কেটারদের পছন্দের একমাত্র হেয়ার অ্যাকসেসরিজ এই স্ক্রাঞ্চি। তবে ‘ওয়াই টু কে’র (ইয়ার অব টুথাউজেন্ড) মাঝামাঝিতে এসে এর জনপ্রিয়তা কমে আসে। এর জন্য অবশ্য দায়ী ক্যারি ব্র্যাডশ! ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সিটি’র প্রধান চরিত্র ক্যারি ব্র্যাডশ একটি এপিসোডে স্ক্রাঞ্চি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যের জন্যই ফ্যাশন থেকে হারিয়ে যায় রেভসনের স্ক্রাঞ্চি।

ফ্যাশন সমালোচকদের মতে, এই জনপ্রিয়তার রহস্য এর কোমল স্বভাব এবং নানা রকম স্টাইলিংয়ের সুযোগ। প্লাস্টিক রাবার ব্যান্ড চুল ড্যামেজের জন্য দায়ী। কিন্তু স্ক্রাঞ্চিতে চুলের কোনো ক্ষতি হয় না। এ জন্য অনেক হেয়ার এক্সপার্ট স্ক্রাঞ্চি দিয়ে চুল বেঁধে ঘুমানোর পরামর্শ দেন।

ওয়েস্টার্ন টু এথনিক সব ধরনের লুকের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায়। শুধু স্ক্রাঞ্চি পরেও অনেকগুলো লুক তৈরি করা যায়। স্লিক হাই পনিটেইল, লো পনিটেইল, হাফ বান, সাইড পনিটেইল মেসি বান, স্পেস বান সব রকমের হেয়ার স্টাইল করা যাবে স্ক্রাঞ্চি দিয়ে। পোশাকের পাশাপাশি জুতা, বেল্ট, ব্যাগ, এমনকি লিপস্টিকের সঙ্গেও ম্যাচিং করে পরা যেতে পারে। এখন অবশ্য মাস্কের সঙ্গেও ম্যাচ করে অনেকে স্ক্রাঞ্চি পরছেন। কোয়ার্কি লুক আনতে চাইলে ম্যাচিং না করে যেকোনো রং এবং ডিজাইনের স্ক্রাঞ্চি বেছে নিতে পারেন।

কয়েক বছর আগে ভেলভেট ফেব্রিকের কালো, সাদা, বেগুনি এবং লাল রঙের মতো ক্ল্যাসিক রঙের স্ক্রাঞ্চি দিয়ে এই ট্রেন্ডের পুনরাবির্ভাব ঘটে। এখন প্যাটার্ন এবং ফেব্রিক দুইয়ের বেশ পরিবর্তন হয়েছে। নামজাদা সব ফ্যাশন ব্র্যান্ডও এখন নানা ধরনের স্ক্রাঞ্চি বানাচ্ছে। সাধারণ স্ক্রাঞ্চির পাশাপাশি শর্ট বো এবং লং বো স্টাইলের জয়জয়কার এখন সবখানেই। টুইগি এবং জাম্বো সাইজ স্ক্রাঞ্চির ব্যবহারও বেশ লক্ষণীয়।

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ঘরেই বানাতে পারেন ওয়াফেল

বিমান ওঠা-নামার সময় জানালা খোলা রাখার কারণ

ডায়াবেটিস রোগীর কাঁধে ব্যথা

শসা খাওয়ার উপকারিতা

ইলেক্ট্রনিক স্বাস্থ্য কার্ডের যুগে বাংলাদেশ

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ