সাকিবের সুরে সুর মেলালেন মাশরাফিও। বোর্ড কর্মকর্তাদের অবদান নিয়ে সাকিবের পর প্রশ্ন মাশরাফির। বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিসিবি কর্মকর্তাদের অবদান নিয়ে সাকিব আল হাসানের মন্তব্যে টালমাটাল বাংলার ক্রিকেট। সাকিবের জ্বালানো চিতায় এবার ঘি ঢেলেছেন বাংলার সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আঙুল তুলেছেন তাকে নিয়ে পিছনে পিছনে কথা বলা মানুষদের দিকে।
একটি লাইভ অনুষ্ঠানে সাকিবের করা মন্তব্যে নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। সাকিব প্রশ্ন তুলেছেন এদেশের ক্রিকেটে বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের রাখা অবদান নিয়ে। প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন ক্রিকেট কাঠামোকেই। এবার সাকিবের দেখানো পথে মাশরাফিও গাইছেন একই সুর।৭১ চ্যানেলকে মাশরাফি জানালেন জমে থাকা ক্ষোভ। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ দলে নেই মাশরাফি। টেস্ট খেলেন না অনেকদিন আগে থেকেই। অবসর নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি থেকে। খেলেন শুধু একদিনের ক্রিকেটে। তাতেও ব্রাত্য এই সাবেক অধিনায়ক।
আগে থেকেই শোনা গিয়েছিল মাশরাফির জায়গা হবে না ঘরের মাঠের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। হয়েছেও সেটাই। ফিটনেস ইস্যু দেখিয়ে বাদ দেয়া হয়েছে মাশরাফিকে। ব্যাপারটা যে ম্যাশের পছন্দ হয়নি সেটিই বুঝা গেল আজ।
ফিটনেস ইস্যু নিয়ে বাদ দেয়া মাশরাফিকে ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ডাটা গুলো একটু বের করে দেখেন, আমার একটা ফিটনেস টেস্টও ফেল আছে কিনা? আমি তো এইগুলো ক্যামেরার সামনে এসে কখনও বলিইনাই। ভাই! যে মানুষগুলা কথা বলতেছে ওদের অবদান কি? তাদের অবদান গুলা যদি আমি তুলে ধরি তাহলে তো খারাপ হয়ে যাবে।”
নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ বাজেভাবে হেরেছে। সেই আলোচনা ছাপিয়ে ওই দিন রাতেই সাকিব আল হাসানের ফেসবুক লাইভ সাক্ষাৎকারে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় দেশে।সেই ধাক্কা নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। এখনো বিসিবি সেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এভাবে বোর্ডের সমালোচনা করার পর কী হতে চলেছে বিসিবিতে সেটাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ভারতে আইপিএলে খেলতে যাওয়ার আগে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে কাল ভোররাতেই সাকিবের দেশে ফেরার কথা ছিল। তৃতীয় সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছুটি নিয়েছেন সাকিব।একই সঙ্গে তিনি আইপিএলে খেলার জন্য বিসিবির কাছে ছুটি চাইলে বোর্ড তাকে অনাপত্তিপত্র দেয়। শ্রীলংকায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ থাকার পরও আইপিএলে খেলার সিদ্ধান্তের জন্য প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন সাকিব।
সেই আলোচনা নতুন মোড় নেয় শনিবার রাতে। সাকিব দাবি করেন, বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান তার চিঠি না পড়েই ভুল ব্যাখ্যা দেন। টেস্ট খেলতে চান না, এমন কিছু চিঠিতে লেখেননি তিনি। এছাড়া তিনি আকরাম খান ও হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কাজ কী, এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।