করোনার প্রাদুর্ভাবে অনলাইনে পড়াশোনায় বড় স্ক্রিনের ডিভাইসের কদর বাড়ছে। তবে দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণের নাগালের বাইরেই বলা যায় ল্যাপটপ। এক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম বাজেটে বড় স্ক্রিনের সুবিধা পেতে বিকল্প হতে পারে ট্যাবলেট কম্পিউটার বা ট্যাব।
প্রচলিত মাউসের পরিবর্তে ট্যাবে থাকে স্পর্শকাতর পর্দা, যা হাতের আঙুলের স্পর্শ, বিশেষ পেন বা ভাষা বুঝতে সক্ষম। টাইপিংয়ের জন্য এই যন্ত্রে ব্যবহূত ভার্চুয়াল কিবোর্ড। ল্যাপটপের চেয়ে ছোট এবং স্মার্টফোনের চেয়ে একটু বড়। তবে উভয় কাজের জন্য সমানভাবে ব্যবহারযোগ্য ডিভাইস ট্যাবলেট। উচ্চ ক্ষমতা কিংবা হাই-এন্ড ট্যাবলেট অ্যান্ড্রয়েড জগতে অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করলেও সাধারণ ব্যবহারকারীদের মন জয় করতে সব সময়ই বাজেট ট্যাবলেট করে থাকে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে ডিভাইসগুলো ক্রমেই উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একই গতিতে সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না। তাই স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর প্রয়োজন মেটাতে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে চাহিদার শীর্ষে বাজেট ট্যাব ও স্মার্টফোন। তবে বাজেট ট্যাব বা স্মার্টফোন যে ফেলনা কিছু নয় তা বোঝা যায় সেগুলোর স্পেসিফিকেশন এবং পারফরম্যান্স দেখেই। তাই বর্তমানের এমন কিছু ট্যাব সম্পর্কে জানাতে চাই যেগুলো কম মূল্যের হলেও অসাধারণ ডিভাইস হিসেবেই একই সঙ্গে প্রযুক্তিপ্রেমী এবং সাধারণ ব্যবহারকারীর কাছে আকর্ষণীয়।
ট্যাবের খোঁজখবর
লেনোভো :লেনোভো ট্যাব এম৭ ডিভাইসটিতে রয়েছে ৭ ইঞ্চি এলসিডি আইপিএস মাল্টিটাচ ডিসপ্লে, মিডিয়াটেক ১.৬০ গিগাহার্জ প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র্যাম, ৩২ জিবি স্টোরেজ। দাম ১৪ হাজার ১৫০ টাকা। ট্যাব৪ মডেলটিতে রয়েছে ৮ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে, ২ গিগাবাইট র্যাম, ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজ। বাজারমূল্য ১৬ হাজার ৫০০ টাকা। ট্যাব৪ ৮ প্লাসে রয়েছে ৮ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৩ গিগাবাইট র্যাম, ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজ, ৮ মেগাপিক্সেল অটোফোকাস রিয়ার ও ৫ ফিক্সড ফোকাস ফ্রন্ট ক্যামেরার ট্যাবটির বাজারমূল্য ২৩ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া ২১ হাজার টাকায় এম১০, এক লাখ সাত হাজার টাকায় আইডিয়াপ্যাড মিক্স, ৩২ হাজার টাকায় আইডিয়াপ্যাড ডি৩৩০ মডেলের ডিভাইস বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
ওয়ালটন :প্রিলুড এস ৪১ মডেলে রয়েছে ১০.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ২.৪ গিগাহার্জ গতির ইন্টেল কোয়াড কোর প্রসেসর, ১২৮ জিবি ইএমএমসি স্টোরেজ। উইন্ডোজ চালিত ট্যাবটির দাম ২৪ হাজার টাকা।
স্যামসাং :গ্যালাক্সি এ এইট মডেলের দুই জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি রমের ট্যাবলেটের বর্তমান মূল্য ১৪ হাজার টাকা। ট্যাব ১০.১ মডেলের সুদৃশ্য ডিভাইসটিতে রয়েছে কর্নার টু কর্নার সম্পূর্ণ এইচডি ডিসপ্লে। হালকা ও বড় ডিসপ্লের সঙ্গে শিশুদের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এতে। কালো রঙের এই ট্যাবের দাম ২৬ হাজার টাকা।
হুয়াওয়ে :মিডিয়া প্যাড টি৩-৭ মডেলের ট্যাবে রয়েছে ৭ ইঞ্চি আইপিএস মাল্টিটাচ ডিসপ্লে। দাম ১০ হাজার টাকা। মিডিয়া প্যাড টি৮-এমটিকে মডেলের দাম ১০ হাজার টাকা। মিডিয়া মেটপ্যাড টি৮ ট্যাবের দাম ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।
অ্যামাজন :ফায়ার ৭ : কোয়াড কোর প্রসেসর, ৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ১ জিবি র্যাম, ১৬ জিবি স্টোরেজ, সামনে ও পেছনে ২ এমপি ক্যামেরার ফোনটির বাজারমূল্য মাত্র ১০ হাজার টাকা। ফায়ার এইচডি ৮ : কোয়াড কোর ১.৩ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ৮ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ১ জিবি র্যাম, ১৬ জিবি স্টোরেজ, ২ এমপি রিয়ার ক্যামেরার ফোনটির বাজারমূল্য মাত্র ১১ হাজার ৫০০ টাকা। ১৫ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে ওয়াটার প্রুফ কিনডল পেপার হোইট ই-রিডার।
অ্যাপল :বিভিন্ন কনফিগারেশনে আইপ্যাড পাওয়া যাবে ২৪ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে। আইপ্যাড ফোর ওয়াইফাই ভার্সনের ১৬ জিবি স্টোরেজের আইপ্যাডটি অনলাইন শপে পাওয়া যাবে মাত্র ২৪ হাজার ৬৫১ টাকায়। ১০.২ ইঞ্চি ডিসপ্লে সমৃদ্ধ আইপ্যাড এমডব্লিউ৭৬২এলএল/এ মডেলের দাম ৩৪ হাজার টাকা। একই দামে পাওয়া যাবে এমডব্লিউ৭৪২এলএল/এ মডেলের আইপ্যাডটি। ১২.৯ ইঞ্চি পর্দার আইপ্যাড প্রোর দাম এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা।