সেসময় দিল্লি সালতানাত এ বন্দেগান-ই-চেহেলগান বা চল্লিশ দাসের দাপট দেখার মতো। এই বন্দেগান-ই-চেহেলগানের একজন ইলতুৎমিশ মৃত্যুর আগে তাঁর কন্যা সুলতানা রাজিয়াকে শাসনভার গ্রহণের জন্যে মনোনীত করে যান। অবশ্যই একে স্নেহের আতিশয্য বলে রায় দেয়া সম্ভব না। ইলতুৎমিশ যথেষ্ট বিচক্ষণ এবং স্থিতধী শাসক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। বরং একথা আমরা বলতে পারি সুলতানা রাজিয়ার মধ্যে সেই গুণগুলোর সমাহার ঘটেছিল যা ইলতুৎমিশ সহজেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। ইলতুৎমিশের আরো কিছু পুত্র ছিল কিন্তু তারা রাজ্য শাসন করার যোগ্য মোটেও ছিলেন না।
ফলাফল যা হওয়ার তাই, সুলতানা রাজিয়ার পতন একসময় ঘটে। তবে তাঁর মৃত্যু নিয়ে রয়েছে অসংখ্য গুজব। বিষয়টি স্বাভাবিক কারণ যেহেতু তিনি ছিলেন একজন নারী শাসক তাই তাঁর সব ইতিহাস বা ঘটনাকেই অতিরঞ্জিত করা হয়েছিল৷ এমনকি তাঁর শাসনকালেও অসংখ্য গুজব ছড়িয়েছে। আর এই গুজবগুলো শাখা-প্রশাখা মেলেছে কারণ তিনি নারী ছিলেন।
ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করাটা এখানে মুখ্য উদ্দেশ্য না। ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক কেমন ছিলেন? মূলত ছোটবেলা থেকেই রাষ্ট্রনীতি আর যুদ্ধের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল দেখার মতো। তিনি এসকল নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকতেন যে হেরেমের পরিবেশের সাথে তাঁর পরিচয় ছিলনা। তিনি ছিলেন মার্জিত, শিক্ষিত এবং বিচক্ষণ। কূটনৈতিক চালগুলো ভালোভাবেই অনুধাবন করতে এবং রাজ্যের অন্দরমহলের প্রতিযোগিতা সম্পর্কে একজন নারী হয়েও ছিলেন পূর্ণ সচেতন।
এমনকি শাসনভার গ্রহণের পরেও তিনি মূলত নিয়ন্ত্রণ রক্ষার জন্যে পুরুষোচিত পোশাক পরিধান করতেন। এমনকি বেশ কিছু বিদ্রোহ তিনি কঠোর হাতে দমন করেছিলেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে দিল্লি সালতানাতের সিংহাসনে অনেকেই বসেছেন। এদিকে সুলতানা রাজিয়ার শাসনকাল মোটে চার বছর। ইতিহাসের পাতায় এর গুরুত্ব আহামরি কিছু নয়। কিন্তু সুলতানা রাজিয়া তাঁর নেতৃত্ববলে এই চারটি বছরকে করে তুলেছিলেন অর্থবহ।
রাষ্ট্র পরিচালনার সকল দক্ষতা তাঁর ছিল। এমনকি তিনি কোরআন পাঠ করতে পারতেন এবং ধর্মকর্মের দিক থেকেও আদর্শ ছিলেন। তবে এটুকুই মূলত উল্লেখ করার মতো কিছু নয়। মূলত চল্লিশ দাস বা বন্দেগান ই চেহেলগানের কর্তৃত্বই সুলতানা রাজিয়ার নির্মম পরিণতির জন্যে দায়ী। রাজিয়া সুলতানা ধর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ উদারতার পরিচয় দিয়ে গেছেন। শাসনকর্মের ক্ষেত্রে তিনি যোগ্যদেরই প্রাধান্য। স্থানীয় যোগ্য অনেক লোককেই তিনি প্রশাসনে কাজ দিয়েছেন। শিক্ষা, শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতাও করেছেন এবং বহু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অবশ্য অধিকাংশই আমরা বাস্তবায়িত হতে দেখিনি শুধুমাত্র অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্যে।
সমরবিদ্যা এবং রাষ্ট্রবিদ্যায় তাঁর প্রত্যুৎপন্নমতিসম্পন্ন আচরণ সত্যিই অবাক করার মত। সেই সময়ে তিনি নিজে একজ। এই কীটপতঙ্গগুলি কেবল খাবার এবং আসবাবপত্র নষ্ট করে না, মানুষের স্বাস্থ্যের ওপরও কিছুটা প্রভাব ফেলে। তাই পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। রোগব্যাধি বয়ে নিয়ে আসা এইসব পোকামাকড় দূর করতে পারবেন ঘরোয়া উপায়েই—
ন খ্যাতিমান যোদ্ধা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তিনি নিজে বেশ সফল শাসনকাল চালিয়ে গেছেন। এতকিছুর পরেও শুধুমাত্র নারী বলেই তাকে কেউ গ্রহণ করতে পারেনি। ধর্মের দোহাই দিয়ে তিনি নারীত্বকেই যে খাটো করা হয়েছে তা নয়, তাঁর মেধাকেও অপমান করা হয়েছে।