গবেষণা বলছে, মেডিটেশন মানুষকে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখে, কাজে মনযোগ বাড়ায়, ঘুমের সমস্যার সমাধান দেয় এবং উজ্জীবিত রাখে মানসিক স্বাস্থ্যকে। বর্তমান মহামারির এই পৃথিবীতে করোনার সঙ্গে লড়াই করতে করতে এসব সমস্যার মুখোমুখি বেশিরভাগ মানুষ। লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, স্যোশাল ডিসট্যান্সিং এই শব্দগুলো যখন মানসিক স্বাস্থ্যকে অনেক বেশি প্রভাবিত করছে তখন মেডিটেশনই হতে পারে সব ধরনের মানসিক সমস্যা থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ্য জীবনযাপনের কার্যকরী একটি উপায়।
মেডিটেশনের মাধ্যমে অনেকেই দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে জীবনকে নতুন করে যাপন করছেন। প্রতিদিনের জীবনে পেয়েছেন প্রশান্তি। আর তাই বিশ্বজুড়ে মেডিটেশন করা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কোয়ান্টাম মেথডের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় ৫০ কোটি মানুষ এখন নিয়মিত মেডিটেশন করেন। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ, হৃদরোগ, ঘুমের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা এর মাধ্যমে খুব ভালো ফল পেয়েছেন। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও লাখ লাখ মানুষ ধ্যান বা মেডিটেশন করে নিজেদের জীবনকে করে তুলছেন অর্থবহ। নিয়মিত মেডিটশেন করতে পারলে শারীরিক, মানসিক স্বাস্থ্যর উপকারিতার পাশাপাশি সামাজিক জীবনেও অনেক ভালো থাকাযায়।
মানুষের ভেতরের যে শক্তি সেটাকে চেনার জন্যই মেডিটেশন। সারা পৃথিবীর চলমান অস্থিরতা কমাতে মেডিটেশন একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
যারা সবসময় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে থাকেন তাদেরকে মেডিটেশন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তবে সুস্থ বা কিছুটা অসুস্থ তাদেরকেও একই পরামর্শ দেন তারা। কারণ এটি মানুষের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুব ভালো কাজ করে বলে মত তাদের। যেকোনো ধরনের আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়ারও কার্যকর উপায় হলো মেডিটেশন।
আধুনিক পৃথিবীর মানুষের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হলো মানসিক চাপ। যার কারণে বড় ধরনের রোগ যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগসহ নানা জটিল ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। আর এ কারণেই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে মেডিটেশনে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। স্ট্রেস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের শত শত হাসপাতালে চিকিৎসকরা প্রতিরোধমূলক যত্ন হিসেবে রোগীদের যোগ-মেডিটেশন প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। স্ট্রেস থেকে মুক্তি না পেলে শরীর-মন-পেশা সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাজেই এতসবের ক্ষতি না করে প্রতিদিন নিয়মিত মেডিটেশন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশ্ব মেডিটেশন দিবস এই বার্তাটিই নিয়ে এসেছে।