বাংলাদেশের লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের উপন্যাস ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ অবলম্বনে একই নামে ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করেছেন কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি।এতে ‘মুশকান জুবেরী’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী বাঁধন।
সম্প্রতি এই নির্মাতা সৃজিত জানালেন বাঁধনের কাজ নিয়ে গর্বিত তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক পোস্টে এমনটাই পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় এই নির্মাতা।
ফেসবুকে বাঁধনের সঙ্গে শুটিং এর সময় তোলা একটি ছবি শেয়ার করে সৃজিত ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’র ডাবিং এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কাজ শেষ হলো অবশেষে। কাজের জন্য আপনার আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাই বাঁধন। প্রতিকুল পরিস্থিতিতে শুটিং চালিয়ে যাওয়া, কাজ নিয়ে অসংখ্যবার প্রশ্ন তোলা, প্রচুর সময় চেয়ে নেয়ার মাঝেও আপনি মুশকান জুবেরী চরিত্রটিকে জিতিয়ে দিয়েছেন এবং আমাকে গর্বিত করেছেন।’
‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’র শুটিং হয়েছে সিকিমের জিরো পয়েন্টে ও পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান-দুর্গাপুর এলাকায়। সিরিজটি ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে প্রচার হবে। এতে বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন অঞ্জন দত্ত; থাকছেন রাহুল বোস, অনির্বাণ ভট্টাচার্যসহ অনেকেই।
এদিকে, শরীর নিয়ে বিরুপ মন্তব্যের জবাবটা ভালোভাবেই দিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। অভিনেত্রী ও বিজেপি সমর্থক রিমঝিম মিত্রের মন্তব্যের সমালোচনা করে বুধবার বামপন্থী এই অভিনেত্রী বলেন, এ শরীরের প্রত্যেকটা ভাঁজ একান্ত আমার।
আনন্দবাজার পত্রিকাসহ একাধিক সংবাদ মাধ্যম বলছে, টলিউডের ভিতরে বা বাইরে, শরীরের আকার ও গঠন নিয়ে কটূক্তি শুনতে অভ্যস্ত শ্রীলেখা। কখনও শুনতে হয়েছে 'মোটা', কখনও বা 'এত তো শরীর চর্চা করেন, কই কমেননি তো একটুও'।
শুধু ছবি নয়, অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্রের করা মন্তব্যকেও সামনে এনেছেন শ্রীলেখা। গত মার্চে ওই মন্তব্য করেছিলেন রিমঝিম। রিমঝিম লিখেছিলেন, ‘থলথলে বৌদি আমায় ব্লকিয়েছে। কমরেট মাংস পিণ্ড কি এটা ঠিক করল আমার সঙ্গে’?
একটি কাঁধ খোলা জামা পরে ছবি দিয়ে এবার শ্রীলেখা লিখেছেন, 'এই পোশাকের ট্যাগটা এখনও রয়ে গিয়েছে। বাইরে কখনও পরিনি। দিনের পর দিন ইন্ডাস্ট্রির এবং সাধারণ মানুষরা বডি শেমিং করেছে তথাকথিত ‘মোটা’ হওয়ার জন্য। দিদি এত জিম করেন কমেনি একটুও। আমার থেকে বেশি যেন বাকিদের বারোমাসের সমস্যা এটা।'
তিনি লিখেছেন, 'আমি তো স্বঘোষিত ফুডি এবং জিন বা খাবার হজম করার শক্তি যাই বলুন না কেন আমি জানি আমি গোলগাল। যাক গে আমি নিয়মিত শরীরচর্চা করি আর জোর গলায় বলতে পারি ৪০ বছরের মাঝামাঝি এসে ২০ বছর বয়সের থেকেও বেশি ফিট আছি। তখন কাজ হারাবার ভয়ে হাঁটুর ব্যথা পর্যন্ত লুকিয়ে কাজ করতাম। এখন তা আর নেই।'