বাংলাদেশে ধীরে ধীরে বাড়ছে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখা। প্রতি আট জনে একজন বহন করে রক্তের এই ভয়াবহ রোগ থ্যালাসেমিয়া। দেশের উত্তরবঙ্গের শহর রংপুরে এই রোগের প্রকোপ সব চেয়ে বেশি। কিছু বছর আগে এই রোগের সচেতনতা বাড়ানোর জুন্য রোডম্যাপ আয়োজন করা হলেও যার কিছুই এখন নেই। এ রোগে আক্রান্ত হবার লেখচিত্র উর্ধমুখী। প্রতি বছর প্রায় ২৫০০ মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ভর্তি ,চাকরিতে ঢোকার আগে,বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে এর বাহককে সনাক্ত করা যায়। এটিই এই রোগের প্রকোপ কমানোর অন্যতম রাস্তা।
আইদেশি নামের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে গবেষণা করছে। তাদের মতে এই রোগের বাহক সবচেয়ে বেশি রংপুরে যা প্রায় ২৯ ভাগ। এর পর আছে রাজশাহী, রাজশাহী তে এই রোগের বাহক ১৬ ভাগ,সিলেটে ১১ ভাগ, ঢাকায় ৯ ভাগ, চট্টগ্রামে ৯ ভাগ, বরিশালে ৭ ভাগ আর খুলনায় ৪ ভাগ।
সচেতনতার অভাব এবং আত্মীয়দের মাঝে বিয়ে হলে এই রোগ ছড়ানোর সম্বভনা বেশি থাকে।
স্বামী স্ত্রী দুজন যদি এই রোগের বাহক হয় তাহলে তাদের সব সন্তান এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্বভনা থাকে।
১০ বছর এর রোডম্যাপ করা হলেও এর কোনো অগ্রগতি নেই। দিনে দিনে এই রোগের প্রকোপ বেড়েই চলছে। এই রোগের রোগীর সঠিক সংখা জানা নেই কারো।
শরীরে রক্ত উৎপাদন না হওয়ায় থ্যালাসেমিয়া রোগীকে প্রতি মাসে এক থেকে তিন বার রক্ত নেওয়ার দরকার পরে। যাতে প্রায় ১০০০০ থেকে ৩০০০০ টাকা খরচ হয়্। যা অধিকাংশ পরিবার বহন করিতে পারে না। আর এই রোগের চিকিৎসা না করলে অল্প বয়সেই রোগীর মৃত্যু অনিবার্য।