রাজধানীর কম-বেশি রেস্তোরাতেই রয়েছে একই স্বাদের খাবার। আপনি যদি খুঁজে পেতে চান ভিন্ন স্বাদের খাবার, তবে বেছে নিতে পারেন পাতুরি, লক্ষ্মৌ, বাংলার মিষ্টি এবং আর্ট ক্যাফে। যেখানে এই চার রেস্তোরাঁয় মিলবে চার রকম স্বাদের খাবার। শুধু কি তাই, সাজসজ্জাতেও পাবেন ভিন্ন এক মিশ্রণ।
পাতুরি
বনানীর ব্লক এইচ’য়ের ১০বি রাস্তার তিন নম্বর বাড়িতে এই রেস্তোরাঁ। বাইরের চেহারা ঢাকার পুরানোদিনের বাড়িগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। চারপাশে গাছপালা, আর মাঝে লাল ইটের রাস্তা। কাচে ঘেরা বাড়ি, শহুরে আর গ্রাম্য পরিবেশের এক অনন্য মিশ্রণ।
অন্দরসজ্জা ছিমছাম, বেতের চেয়ার, তাতে হালকা গদি, সাধারণ কাঠের টেবিল, ধাঁচটা ‘ফাইন ডাইন’য়ের মতো। দুতলা রেস্তোরাঁর প্রায় সব দেয়ালেই শোভা পাচ্ছে রং-তুলিতে আঁকা শিল্পকর্ম। প্রতিদিন দুপুর ১২টায় রেস্তোরাঁর খাবার পরিবেশন শুরু হয়। দুপুর তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিরতি। এসময় শুধু আগেভাগে ‘রিজার্ভেশন’ নেওয়া অতিথিদের খাবার পরিবেশন করা হয়।
খাবারের তালিকায় আছে গরু, খাসি, মুরগি ও হাঁসের মাংস। তবে প্রকৃত আকর্ষণীয় বিষয় হল- মাছের বিভিন্ন পদের পসরা। বিশেষ করে পাতুরি, যা হলো কলাপাতায় মুড়িয়ে রান্না করা মাছ। ভেটকি, চিংড়ি, কই ও ইলিশ মাছের পাতুরি পাওয়া যায়ে এখানে। আর এগুলোই সবচাইতে জনপ্রিয়। এছাড়াও আছে আইড়, পাবদা, চিতল, রুপচাঁদা মাছের বিভিন্ন আকর্ষণীয় অভিনব পদ। শুটকিও আছে।
লক্ষ্মৌ ঢাকা
এটাও ‘ফাইন ডাইন’ ধাঁচেরই, তবে খাবারের ধরনে আছে ভিন্নতা। তারা ভোজন রসিকদের জন্য নিয়ে এসেছে মোঘল ঘরানার খাবার। রেস্তোরাঁর খাবারের তালিকায় কাবাব-জাতীয় খাবারের আধিক্য লক্ষণীয়। রয়েছে গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের বিভিন্ন ধরনের কাবাব এবং তন্দুরি পদ। এছাড়াও আছে মাছের বিভিন্ন পদ, কাঁকড়া ও চিংড়ি।
হান্ডি বিরিয়ানি, কোফতা বিরিয়ানি, কিমা বিরিয়ানি, পর্দা বিরিয়ানি, নুশিজান বিরিয়ানি ইত্যাদিরও স্বাদ নেওয়া যাবে এই রেস্তোরাঁয়।নিরামিষভোজীদের জন্যও এই রেস্তোরাঁর খাবারের তালিকা বেশ আকর্ষণীয়।
কাবাব ছাড়াও মিলবে বিভিন্ন ধরনের রুটি, পরোটা, নান। ডেজার্ট আছে গাজরের হালুয়া, শাহী টুকরা, কুলফি, মিষ্টি দই ইত্যাদি।
আর্ট ক্যাফে ও বাংলার মিষ্টি
দুই রেস্তোরাঁ একই সঙ্গে থাকে। বনানী আর গুলশানে দুটি শাখা আছে এদের। বনানীর ১৯এ রাস্তার ৩৪ নম্বর বাড়ি আর ৬০ গুলশান অ্যাভেনিউ। দুটো শাখাই খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। তবে বনানী শাখা শুক্রবার ও শনিবারে রাত দুইটা পর্যন্ত অতিথিদের জন্য দরজা খোলা রাখে।
এই দুইয়ের মিলিত প্রচেষ্টায় বিভিন্ন অঞ্চলের জনপ্রিয় মিষ্টিকে এক ছাদের নিচে জড়ো করার প্রয়াস চালিয়েছে বেঙ্গল এক্সপ্রেস। আর সব মিষ্টির দোকানের মতো কাচের আলমারিতে থালা কিংবা বোল ভরা মিষ্টি নেই এখানে। বরং আছে মিষ্টির গ্যালারি।