সব

গিয়াসের গ্রামীণ চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৫৭

 এফএম রেডিওর আরজে, এরপর টেলিভিশন উপস্থাপনা। উপস্থাপনা থেকে বিজ্ঞাপন, মডেলিং। অতঃপর চলচ্চিত্রে। যৌথ প্রযোজনার বিগ বাজেট সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক। অভিষেক চলচ্চিত্রেই মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার জেতা। অভিনয় করেছেন ছয়টি যৌথ প্রযোজনার সিনেমায়। টালিগঞ্জের সুপার স্টার জিতের সঙ্গে করেছেন একাধিক সিনেমা। ঢাকাই চলচ্চিত্রে সুপার স্টার শাকিব খানের সঙ্গেও কাজ করেছেন। তবে তার চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক বলিউড পরিচালক শ্যাম বেনেগালের ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয়।

নুসরাত ফারিয়া নিয়ে এলেন নতুন খবর। মনপুরাখ্যাত পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মাণ করছেন একটি ফিচার ফিল্ম। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের গল্প ‘গুনিন’ থেকে নির্মিত এ চলচ্চিত্রের নামও গুনিন। পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমাটির চিত্রনাট্য, সংলাপ লিখছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম নিজেই। এটি একটি দেশীয় ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য নির্মিত হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে সিনেমা হলেই আগে মুক্তির কথা ভাবছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। গুনিনে শহুরে ফারিয়াকে দেখা যাবে গ্রামীণ ‘রাবেয়া’ চরিত্রে। বিতর্ক ও উপস্থাপনার ছাপ ফারিয়ার চলন-বলনে। দেখতে যেমন চটপটে, কথাবার্তায় তেমনি স্মার্ট। সাধারণত বাংলা-ইংরেজি মিশিয়ে কাথা বলেন। সেই ফারিয়া কেন রাবেয়া চরিত্রে? প্রশ্ন শুনে হাসলেন স্বপ্নজালের পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম। বণিক বার্তাকে বললেন, ‘রাবেয়া চরিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে তাকেই যোগ্য মনে হয়েছে। আমরা নুসরাত ফারিয়াকে শহুরে চরিত্রে দেখে অভ্যস্ত। গ্রামীণ চরিত্রে তাকে কখনো দেখিনি। তার পরও আমি তাকে সিলেক্ট করেছি। কারণ একজন সত্যিকারের অভিনেত্রী শহুরে বা গ্রামীণ নয়, চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে মেলে ধরেন। তাছাড়া ফারিয়া বাংলাদেশেরই মেয়ে। সে অবশ্যই শহুরে জীবনের পাশাপাশি গ্রামীণ জীবনও দেখেছে। বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং মনে হলেও ফারিয়ার জন্য মোটেও চ্যালেঞ্জিং হবে না বলেই আমার বিশ্বাস।’


নুসরাত ফারিয়াকে রাবেয়া হয়ে উঠতে গুনিনের পুরো টিম সাহায্য করছেন বলে জানান তিনি। আগামী অক্টোবরে শুটিং শুরু হবে গুনিনের। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সঙ্গে কাজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘আমি সত্যি আপ্লুত। কারণ গিয়াসউদ্দিন সেলিম আমার সবসময়ের পছন্দের নির্মাতা। তার মনপুরা দেখার পরই মুগ্ধতা কাজ করতে শুরু করে। তার সিনেমা মানেই অন্য রকম গল্প। চেনা মুখকে নতুনভাবে দেখা, নতুনভাবে আবিষ্কার করা। সেই পরিচালকের সঙ্গে কাজের ইচ্ছা সবসময়ই ছিল। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তার একাধিক কাজে আমি কাজ করব করব করেও করা হয়নি। ফাইনালি গুনিনে সেই যাত্রা শুরু হলো। আমি হচ্ছি তার রাবেয়া।’


তিনি আরো বলেন, ‘ছবিটির গল্প সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ এটি এ সময়ের গল্প নয়। প্রায় ৫০ বছরের ঘটনাপ্রবাহ দেখানো হবে। আমার রাবেয়া চরিত্রটি তত্কালীন মুসলিম রক্ষণশীল সমাজের এক নারী।

 

চরকিতে আসছে ফারিয়ার ছবি

সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রেক্ষাগৃহে জয়া!

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ