সব

রানস্যামওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকার উপায়

আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:৪৮


হ্যাকারদের সাইবার হামলা থেকে বাঁচতে সচেতনতা ও বুঝেশুনে ওয়েবসাইট ভিজিট করার বিকল্প নেই। বিশেষ করে অ্যাডাল্ট ও পর্ণ সাইট, টরেন্ট সাইট, অনেক বেশি বিজ্ঞাপন দেয়—এমন সাইটগুলো থেকে বিরত থাকাই ভালো। লোভনীয় ইমেইল, অ্যাড এবং পপ-আপগুলোতে ক্লিক না করাই নিরাপদ। লোভনীয়ভাবে বিট-কয়েন মাইনিংয়ের কিছু অ্যাড আসে যা থেকে বিরত থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত যেকোনো লিংক যাচাই না করে ক্লিক করা যাবে না। যে কোন সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে জ্ঞান থাকার গুরুত্ব অপরিসীম আর প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে অবশ্যই কর্মীদের মধ্যে সাইবার সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।


করোনাকালে অনলাইনে যোগাযোগ, প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা, প্রাতিষ্ঠানিক মিটিং ও শিক্ষাদানের অন্যতম ভরসার জায়গা ইন্টারনেট। তবে ঘরের বাইরে যেমন সতর্ক না থাকলে ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ভয়, তেমনি ঘরে বসে ইন্টারনেট জগতে সুরক্ষিত না থাকলে রয়েছে ম্যালওয়্যার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশঙ্কা! ডিজিটাল নিরাপত্তা বা সাইবার সিকিউরিটির কথা চিন্তা করলে প্রথমেই যা নিয়ে ভয় কাজ করে তা হচ্ছে হ্যাকার ও তাদের তৈরি ম্যালিসিয়াস সফটওয়্যার বা ম্যালওয়্যার, এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যা তৈরি করা হয় ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষতি বা তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে। এই ম্যালওয়্যারের আবার বেশকিছু শ্রেনিবিন্যাস রয়েছে, যার মধ্যে র‍্যানসামওয়্যার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।


কী হবে যদি কখনো এমন হয় যে, আপনার ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক অতি-প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারের ডাটা বা ফাইলগুলো আর ব্যবহার করতে পারছেন না? যদি দেখতে পান আপনার ডিভাইসটি অদ্ভুত আচরণ করছে এবং ফাইলগুলোর এক্সটেনশন পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে, তাহলে বুঝবেন আপনার ডিভাইসটি র‍্যানসমওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।

র‍্যানসমওয়্যার এমন একটি ম্যালওয়্যার যা ব্যবহারকারী বা কোন প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে প্রবেশ করে সেই ব্যাবহারকারীর বা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারের সব ডেটা এনক্রিপ্ট করে দেয়, যা পরবর্তীতে আর ব্যবহার যোগ্য থাকে না। কিছুটা লক করার মতো হলেও এরচেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর। ডেটা এনক্রিপ্টেড হওয়ার পর ভিকটিমের কাছে বিট কয়েনের মাধ্যমে টাকা চাওয়া হয় যাকে বলা হয় র‍্যানসাম-পে। হ্যাকারদের সাধারণত ম্যাসেজ থাকে যদি আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা দেন তবেই আপনার ডাটা ডিক্রিপ্ট বা আনলক করা হবে, অন্যথায় ডাটা আর ফেরত পাবেন না।

আসুন জেনে নেয়া যাক র‍্যানসামওয়্যার রোধে কোন কোন বিষয়গুলো লক্ষণীয়:

১। জরুরি ডাটা ব্যাকআপ রাখা। যাতে করে র‍্যানসমওয়্যার অ্যাটাক হলে ডিভাইসের সব ডাটা মুছে ফেলে ডাটা পুনরুদ্ধার করা যায়।

২। ক্র্যাক করা সফটওয়্যার ব্যবহার না করা।

৩। অপারেটিং সিস্টেমসহ অ্যান্টিভাইরাস ও সফটওয়্যার সবসময় আপডেট রাখা।

৪। অথেনটিক সোর্সের বাইরে থেকে আসা স্প্যাম মেইল ওপেন করা যাবে না, পাশাপাশি নতুন প্রাপ্ত মেইলগুলোর ইমেইল অ্যাড্রেস যাচাই করতে হবে।

৫। অ্যাডাল্ট ও পর্ণ সাইট ভিজিট করা যাবে না।

৬। অ্যান্টিভাইরাসের রিয়েল টাইম প্রোটেকশন ও অ্যাকসেস কনট্রোল সার্ভিসটি সবসময় সচল রাখা।

৭। সি-ড্রাইভসহ প্রতিটা ড্রাইভের সিস্টেম প্রোটেকশন অন রাখতে হবে।

৮। র‍্যানসমওয়্যার আক্রান্ত ডিভাইসটিকে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন (আইসোলেট) রাখতে হবে, যাতে করে অন্য ডিভাইসে ছড়িয়ে না পরে।

৯। পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা যাবে না, যদি জরুরি কাজে করতেই হয় তবে ভিপিএন কানেক্ট করে ব্যবহার করুন।

১০। কর্পোরেট কোম্পানি ও ব্যবসার জন্য ফায়ারওয়্যাল, ফাইল ও মেইল সার্ভার স্ক্যানার ব্যবহার করুন।

১১। যেকোন ইউএসবি ডিভাইস কম্পিউটারে সংযুক্ত করা যাবে না।

১২। বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও থেকে কিছু ডাউনলোড করা যাবে না।

সর্বোপরি, নিজে সচেতন থাকা ও অন্যকে সচেতন করার মাধ্যমে যেকোনোধরনের সাইবার ঝুঁকি থেকে অনেকাংশেই নিরাপদ থাকতে পারবেন।

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ডিডস হামলার প্রমাণ

১৫ আগস্ট বাংলাদেশে সাইবার হামলার হুমকি ভারতের

হ্যাকারদের কবলে ডেটা পাচার

একজন নক্ষত্রের বিদায়

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ