নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ধারাহারা টাওয়ার ছিলো পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। ছয় বছর আগে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় এটি। অবিকল এর মতোই একটি টাওয়ার গড়ে তোলা হয়েছে কাঠমান্ডুতে।
ভূমিকম্পের ছয় বছর হওয়ার আগের দিন নতুন স্থাপনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।
নতুন টাওয়ারের উচ্চতা ২৩৬ ফুট (৭২ মিটার)। এতে রয়েছে ২২ তলা। দুটি লিফটে করে পর্যটকরা ওপরে উঠতে পারবেন। এছাড়া আছে একটি করে বাগান, জাদুঘর ও ঝরনা।
নতুন টাওয়ারটির আকার মসজিদের মিনারের মতো। এখান থেকে চোখ মেলে কাঠমান্ডু ভ্যালির মনোরম সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে।
এ বছরের শেষ নাগাদ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে ধারাহারা টাওয়ারের রেপ্লিকা। কারণ নভেম্বর পর্যন্ত এতে প্রবেশের অনুমতি থাকছে না।
১৮৩০-এর দশকে নেপালের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ধারাহারা টাওয়ার গড়ে তুলেছিলেন। শুরুতে এটি ছিল ১৮ তলা। ১৯৩৫ সালে ভূমিকম্পের পর তা ১১ তলায় কমিয়ে আনা হয়।
২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৯ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ধারাহারা টাওয়ারটি ধসে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এটি ভিমসেন টাওয়ার নামেও পরিচিত।