সব

মেঘের দেশে লুকোচুরি

আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২১, ১৩:৫৯

 

মেঘের রাজ্যে এমন ম্যাজিক চারপাশে ছড়ানো। মেঘের মধ্যেই চলাফেরা। মেঘের মধ্যেই বসবাস। মেঘের মধ্যেই জীবনযাপন। যত দূর চোখ যায় মেঘ আর মেঘ। রূপকথার মতো এক মায়াবী জগত।


চোখে, মুখে, হাতে মেঘ। মেঘের ছড়াছড়ি। ক্ষণে ক্ষণে বদলায় তার রূপ। আহ্ কী যে অপরূপ।
কখনো কখনো মেঘ বিভ্রান্ত করে দেয়। কিছুটা দূর থেকে মনে হয়, সামনে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে কোনো নদী। তার মধ্যে ভেসে আছে ছোট ছোট দ্বীপ। সবটাই মেঘের মায়াজাল। হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো দেখতে মেঘমালার নির্দিষ্ট কোনো অবয়ব নেই। আকৃতি নেই। দৃশ্যমান হয়েও অদৃশ্যমান। মেঘ যে এমন কুহক বিস্তার করতে পারে, রাঙামাটির উত্তরে অবস্থিত সাজেক উপত্যকা না এলে একদমই জানতে পারা যাবে না।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭২০ ফুট উঁচুতে রুইলুই পাড়ায় বসবাস করার সময় মনে হতে থাকে চারপাশে সব মেঘের ঘরবাড়ি। রাঙামাটির এই 'ছাদে' দাঁড়িয়ে মেঘের ভেতরে নিমজ্জিত থেকে দেখতে পাই তার লুকোচুরি খেলা। পেঁজা পেঁজা তুলোর মতো অফুরান মেঘ। মেঘ একাকার করে দেয় সীমান্ত। মুছে দেয় সীমানা দেওয়াল। ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরামের সঙ্গে সাজেককে মিলিয়ে দিয়েছে মেঘ। তবে রোদের তাপ পেলে মেঘগুলো যেন কোথায় হারিয়ে যায়। তখন আড়াল থেকে ভেসে ওঠে পাহাড়, সবুজ আর আকাশ।

বড় বড় পাহাড়কে কেন্দ্র করে নিবিড়ঘন অরণ্য। তারমধ্যে কত রকম চেনা অচেনা গাছপালা। আছে জংলা। মেঘ অপসৃত হলে দেখা যায় মিজোরাম রাজ্যের সীমানা। হেলিপোর্ট থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের অপার্থিব সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

অবশ্য সেটা নির্ভর করে মেঘের মেজাজ-মর্জির উপর। মেঘের আচ্ছাদন থাকলে তা দেখা যায় না। সাজেকের প্রধান আকর্ষণ মেঘমালা। সেটা হতে পারে ভোরের কিংবা সন্ধ্যার মেঘমালা। তবে তেজদীপ্ত সূর্য থাকলে মেঘের কারুকাজ দেখার সুযোগ মিলবে না। আকাশের মন খারাপ থাকলে মেঘের প্রকৃত রূপ খোলতাই হয়ে ওঠে। যদিও বর্ষায় সাজেকে আসাটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

সাজেকে ফিরছে পর্যটকরা

সাজেক ভ্রমণে যা দেখবেন

ভ্রমণে বর্ষা উপভোগ (পর্ব-১)

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ