সব

ফ্যাশনে গামছার চলন

আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২১, ১৮:৩০


লাল, সবুজ, নীল বা নানা রঙের সুতোয় বোনা সুতি কাপড়টি এখন আর শুধু গা মোছাতে সীমাবদ্ধ নেই। এখন এটি রূপ নিয়েছে ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে।
গামছায় নতুনত্ব

গামছা দিয়ে তৈরি শাড়ি, থ্রিপিস বা ফতুয়া অনেকেই পরেছেন বা দেখেছেন। বিবি রাসেলের পাশাপাশি অনেক দেশীয় ফ্যাশন হাউস কাজ করেছেন এই অনুষঙ্গটি নিয়ে। তাই বলে কি সব পুরোনো হয়ে যাবে। হয়তোবা গামছার তৈরি এসব পোশাক বা পরিধেয়টি পুরোনো হয়ে গেছে। কিন্তু নতুন রূপে ফিরেছে আবার গামছা ফ্যাশন। তরুণদের হাতেই যে আগামীর বিশ্ব। শুধু গামছা দিয়ে তৈরি পোশাকে আধুনিক বা সমসাময়িক ফ্যাশন ট্রেন্ড ফুটিয়ে তোলা খুবই কষ্টকর। এখনকার ট্রেন্ডসেটাররা বেশি মনোযোগী পশ্চিমা পোশাকের প্যাটার্নে। দেশীয় সংস্কৃতির এই অনুষঙ্গটিকে ট্রেন্ডি পোশাকের সঙ্গে ধরে রাখতে নতুন এক কৌশল অবলম্বন করেছি মাত্র। কটন ফেব্রিকের সঙ্গে গামছা একটা প্যাটার্ন জুড়ে দিয়েছি। আমার মাথায় সবসময় ছিল শুধু গামছা না ব্যবহার করে, তার সঙ্গে আরও কী যুক্ত করা যায়। গামছার সঙ্গে চুমকি, পুঁতি বা লেইস ব্যবহার করা যায় না। যেহেতু গামছা ফোক সংস্কৃতির অংশ, এর সঙ্গে সেই ফর্মের অনুষঙ্গ যেমন কড়ি বা কাঠপুঁতি মানানসই। এখানে চাইলেই স্টোন বা চুমকি বসানো যাবে না। সেদিক থেকে কটন ফেব্রিকের সঙ্গে গামছার প্যাচওয়ার্কে স্টোন, চুমকি বা পুঁতি ব্যবহার করা যাবে।

পশ্চিমা পোশাকের ধাঁচে গামছা

গামছার প্যাচওয়ার্ক ব্যবহার করে এসেছে পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক। যার মধ্যে অন্যতম গাউন। শুধু গামছা দিয়ে তৈরি গাউন অনেকটাই বেমানান দেখাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অন্য ফেব্রিকের সঙ্গে গামছার সংমিশ্রণ পোশাকের জৌলুস বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। ভাবছেন মেয়েদের জন্য না হয় গাউন, ছেলেদের ব্লেজার তো আছেই। পুরোপুরি গামছার কাপড়ে তৈরি এসব ব্লেজার আপনার দেশিয়ানাকে ফুটিয়ে তুলবে বহুগুণে। তাছাড়া কটি, জুতা, পার্স, লোফারসহ মেয়েদের অনেক ফ্যাশনেবল গহনাতেও ব্যবহার হচ্ছে গামছা।

পোশাকের গামছায় পাকা রং

গামছা প্যাচওয়ার্কের জন্য ব্যবহার হচ্ছে তাঁতির হাতে তৈরি এন্ডি কটন কাপড়। কেউ চাইলেই মসলিন বা সিল্ক্ক শাড়ি কিংবা কাপড়ের সঙ্গে গামছা জুড়ে দিতে পারবেন না। দিলেও তা মোটেই টেকসই এবং মানানসই হবে না। প্যাচওয়ার্কের ক্ষেত্রে গামছাটি কাঁথা সেলাইয়ের মতো করে সেটি শাড়ির পাড়ে বসানো হচ্ছে। সাধারণত গামছা তৈরি হয় কাচা রং দিয়ে। তাই বাজারের বেশির ভাগ গামছা কয়েকবার ধোয়ার পরও রং ওঠে। পোশাকের জন্য ব্যবহার করা গামছা আলাদাভাবে তৈরি করা হয়। এ ক্ষেত্রে তাঁতিরা গামছায় পাকা রং ব্যবহার করেন। ফলে রং ওঠার ভয় অনেকটা কম থাকে। আর যেটুকু ওঠে তাতে পোশাকের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা থাকে না বললেই চলে। বাজারে শুধু লাল, নীল, সবুজ বা হলুদ এসব রঙের গামছা মেলে। এর সঙ্গে পোশাকের প্রয়োজনে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন রঙের গামছা।

দেশে তৈরি সেরা গামছা

আমাদের দেশে বিভিন্ন এলাকায় গামছা তৈরি হয়। অঞ্চলভিত্তিক পরিবর্তন দেখা যায় গামছার রং এবং সুতার। সারাদেশে কুষ্টিয়া, পাবনার সিরাজগঞ্জ এবং খুলনার ফুলতলার গামছার বেশ কদর রয়েছে। কুষ্টিয়ার গামছাগুলো মোটা আঁশের হয়। এগুলো কিছুটা খসখসে। একই প্যাটার্নে তৈরি হয় ফুলতলার গামছাও। তবে সেদিক থেকে এগিয়ে সিরাজগঞ্জের গামছা। এগুলো অনেক মোলায়েম এবং নরম।

আড়াই হাতের গামছা থেকে এখন ১২ হাত দৈর্ঘ্যের গামছা-শাড়ি পাওয়া যায়। গামছা দিয়ে বানানো হচ্ছে শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, ফতুয়া, ব্লাউজ, স্কার্ট ও টুপি। এ ছাড়া এখন বানানো হচ্ছে জুতা, ঝুড়ি সেট, ব্যাগ, বালা ইত্যাদি

স্বস্তি কুর্তা, টপ বা ফতুয়ায়

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ