ছেলেদের ফ্যাশনে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন ডিজাইনের আরামদায়ক পোশাক। তবে এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে আছে টি-শার্ট। ক্যাজুয়াল পোশাকে জিন্সের সঙ্গে এখন সবচেয়ে বেশি মানানসই হয়ে উঠছে পলো বা রাউন্ড টি-শার্ট। যে কোনো বয়সের জন্যই এসব টি-শার্ট মানানসই হয়ে উঠবে। ক্যাজুয়াল পোশাকে তাই এর চেয়ে আরামদায়ক দ্বিতীয়টি নেই। টি-শার্টের কদর একাল-সেকাল সব কালেই বিদ্যমান। রাউন্ড-নেক, ভি-নেক বা পলো টি-শার্টের ওপর লেখা মজার কোটেশন বা কার্টুনের আকর্ষণে মাতোয়ারা তারুণ্য। শুধু টিনএজারদের কথাই-বা বলি কেন, অফিসপাড়ার অনেক কর্মকর্তাও বাদ যান না। কয়েক বছর ধরেই চলছে এই ট্রেন্ড। তাতে ঘাটতি পড়েনি এখনও। এখন ঋতু বদলেছে। দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা। এ সময় টি-শার্টই প্রধান আকর্ষণ। সব ঋতুতেই ছেলেদের প্রথম পছন্দ। আসলে আজকাল ক্যাজুয়াল ওয়্যার স্টেটমেন্ট হিসেবে টি-শার্টের চেয়ে আরাম আর দ্বিতীয়টি নেই। আর আরামের এই ভূষণটির আবেদন প্রায় সবার কাছেই সমান। তাই হাল ফ্যাশনে টি-শার্টের কদর ছিল একাল-সেকাল সবকালেই।
অফিস কিংবা বাজার- কাজে বাইরে বের হতে ঝটপট পরে নেওয়ার সুবিধা তো রয়েছেই, সঙ্গে ফ্যাশনেবল লুক। তাই সহজভাবেই সবার কাছে টি-শার্টই প্রিয়। আজকাল নানা লেখা আর গ্রাফিক্সের টি-শার্ট দারুণ জনপ্রিয়। এই প্রজন্ম একটু হটকেক। আর ফ্যাশনেও একটু ভিন্নতা থাকা উচিত বলে মনে করেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। মনের ছবির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নিঃসন্দেহে এ এক বেস্ট ট্রেন্ড। পাশাপাশি এক রঙা টি-শার্টও ধরে রেখেছে তার জৌলুস।
অন্যদিকে স্টাইল স্টেটমেন্টে পলো টি-শার্টও অনন্য। এটি সাধারণত নিট কাপড়ে তৈরি হলেও ব্র্যান্ডভেদে কিছু কিছু পলো টি-শার্টের কাপড় এবং বোতামে রয়েছে ভিন্নতা। পলো টি-শার্ট খুব বেশি এক্সপেরিমেন্টাল পোশাক না হলেও এতে মাঝে মধ্যে ঐচ্ছিক পকেট দিয়ে থাকেন ডিজাইনাররা। বাজারে এক কালারের পলো টি-শার্ট রমরমা ব্যবসা করলেও পিছিয়ে থাকে না স্ট্রাইপের ডিজাইন করা পলো টি-শার্টও। স্ট্রাইপ ডিজাইন করা পলো টি-শার্টগুলোর ডিজাইন পোশাকে আনে বৈচিত্র্য।
বাজারে সবুজের বিভিন্ন শেড, লালের বিভিন্ন শেড, নীল, বাসন্তী, নীল ইত্যাদি রঙের টি-শার্ট ক্রেতার নজর কাড়ছে। এসব উজ্জ্বল রং ছাড়াও কিছু হালকা রং আছে, যা সব বয়স আর সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে। যেমন ছাই, বাদামি, হালকা বেগুনি।