সব

তারকাদের ঈদ উদযাপন

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২১, ১৭:৪৭

দিলারা হানিফ পূর্ণিমা

দিলারা হানিফ পূর্ণিমা

করোনার কারণে ঈদের দিনটি বাসায়ই কাটবে। পুরো সময়টা পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। ঈদে আমার সবচেয়ে পছন্দের বিষয় হলো মজার মজার রান্না। পরিবারের জন্য আমার নিজেরও কিছু পছন্দের খাবার রান্নার ইচ্ছা আছে। প্রতি ঈদেই পরিবারের সঙ্গে অন্যরকম একটা সময় কাটানো হয়। আমি মনে করি, ঈদের আনন্দ মূলত ছোটদের জন্যই। শৈশবের কাটানো ঈদের স্মৃতি আমার চোখে সব সময় জ্বলজ্বল করে। ঈদের চাঁদ দেখার জন্য ছাদে উঠে আকাশের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতাম। দেখা মিললেই চিৎকার শুরু করে দিতাম। চাঁদরাতেই মেহেদি লাগানোর ধুম পড়ত। ডিজাইন করে মেহেদি দিতাম। মা সন্ধ্যা থেকেই পরদিনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। ঈদের দিন সকাল, দুপুর ও রাতে কী ড্রেস পরব, তা আগেই গুছিয়ে রাখতাম। সব সময় অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চেষ্টা করেছি। ছোটবেলা থেকেই এটা হয়ে এসেছে। যেজন্য ঈদের জামা-কাপড় বাছাইয়ে অনেক সময় নিতাম। ঈদের নতুন জামাগুলো লুকিয়ে রাখতাম। যাতে বোন বা বান্ধবীরা আমার জামাগুলো না দেখতে পায়। এ নিয়ে সে সময় বান্ধবীদের অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করতাম। খুব জোরাজুরিতে নতুন জামার রং বললেও জামার ধরন বলতাম না। ঈদের দিন সকালে ওই জামা পরে সবাইকে চমকে দিতাম।

আরিফিন শুভ

আরিফিন শুভ

দেখতে দেখতে করোনাকালে আরেকটি ঈদ চলে এলো দুয়ারে। ঈদকে ঘিরে বিশেষ কোনো পরিকল্পনাও নেই। এ উৎসব উদযাপন করার মতো কোনো পরিবেশও নেই। করোনায় অনেক আত্মীয়-স্বজনকে হারিয়েছি। বাসায়ই থাকার চেষ্টা করব। এই ঈদে মিশন এক্সট্রিম ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। এটি মুক্তি পেলে ঈদ একটু বেশি আনন্দময় হতো। ঈদ এলেই ফেলে আসার দিনগুলোর কথা বেশি মনে পড়ে। ছোটবেলায় ময়মনসিংহে গরুর হাটে যেতাম। গরুর শিং দেখে ভয় লাগত। তারপরও যেতাম। এক ঈদের আগের রাতে ঘটনাচক্রে মেজো চাচার বাড়িতে থেকে গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ি ছিল পাশাপাশি। রাতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালবেলা উঠে গোসল শেষে আমাকে একটি পাঞ্জাবি দিয়ে বলা হলো- এটা মেজো চাচার ছোটবেলার পাঞ্জাবি। আমি পরলাম সেটা। আমি বিশ্বাস করেছিলাম এটা মেজো চাচার পাঞ্জাবি, যেজন্য সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। সেই রাতে মেজো চাচা ও চাচি মার্কেটে গিয়ে আমার জন্য ওই পাঞ্জাবি কিনে এনেছিলেন। পরে এটা জানতে পারি। এটা খুব ছোট একটা স্মৃতি। আবেগপূর্ণ একটি মুহূর্ত ছিল আমার কাছে।

তাহসান খান

তাহসান খান

এবার ঈদের দিন বাসায় থাকতে হবে। করোনার কারণে লকডাউনে বেশিরভাগ সময়ই ঘরবন্দি হয়ে আছি। ভেবেছিলাম অচিরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা আর হলো কই। যেজন্য এমন পরিস্থিতি মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। ছোটবেলায় কাটানো ঈদের রঙিন দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। আমি বেড়ে উঠেছি দুই জায়গায়। আমার নানাবাড়ি ছিল শান্তিনগর। আর মা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন বলে ওই এলাকায় থাকতাম। এই দুই জায়গায় ঈদের আনন্দময় সময় কেটেছে। কোরবানির ঈদে বাবার সঙ্গে গরুর হাটে যেতাম। বেশ আনন্দ নিয়ে হাট থেকে ফিরতাম। করোনার জন্য লকডাউনের বেশিরভাগ সময় ঘরবন্দি কাটিয়েছি। এরপরও আসছে ঈদে দর্শক আমাকে কোনো না কোনো নাটক-টেলিছবিতে দেখবেন। লকডাউনের আগে বেশকিছু কাজ করেছি, সেগুলো আসছে ঈদে প্রচার হবে বলে পরিচালকরা জানিয়েছেন।

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব

ছোটবেলার ঈদগুলোতে অনেক আনন্দ করতাম। আর ঈদ আনন্দ ঈদের ক'দিন আগে থেকেই শুরু হতো। এখন সে রকম হয় না। ছোটবেলার ঈদগুলো খুব মিস করি। করোনাকালে ঈদের ভাবনাটাই অন্যরকম। সব সময়ই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হচ্ছে। দেখা যায় না ঈদগাহের সেই চিরচেনা দৃশ্য। সারাক্ষণ সচেতন থাকতে হচ্ছে। এবারের ঈদ বাসায়ই কাটবে। ঈদে নিজের কাজগুলো দেখার ইচ্ছা রয়েছে। গত ঈদের চেয়ে এবার কম সংখ্যক নাটক-টেলিছবিতে অভিনয় করেছি। সংখ্যা নয়, যে কাজটি করছি তা দর্শককে কতটা আনন্দ দিল, সেটাই আমার কাছে মুখ্য। ঈদে কিছু ভালো নাটক-টেলিছবি দর্শক দেখতে পাবেন। যার বেশিরভাগই লকডাউনের আগে শুটিং করেছি। কাজগুলো দর্শককে আনন্দে মাতিয়ে রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

মেহজাবিন চৌধুরী

মেহজাবিন চৌধুরী

পরিবারের মানুষ ছাড়া ঈদের কথা ভাবতেই পারি না। কাছের মানুষের সঙ্গে দেখা, গল্প-গান-আড্ডায় মেতে ওঠা, মজার সব খাবার খাওয়া, বেড়াতে যাওয়া, দিন শেষে টিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখা- এভাবেই ঈদ উপযাপনের পরিকল্পনা থাকে প্রতিবছর। কিন্তু এ সময়টা বড় নিষ্ঠুর হয়ে ধরা দিয়েছে। বন্দি জীবনে ঘরকুনো হয়ে পড়েছি, তাই ঈদের মতো বড় একটি উৎসবে আমরা কে কী করব, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবুও একটা পরিধির মধ্যে থেকে যতটা সম্ভব প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার চেষ্টা করব। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ঈদ আয়োজনের নাটক, টেলিছবিতেগুলোতে সমাজের নানা পেশা ও শ্রেণির মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছি। অভিনীত চরিত্র দিয়ে দর্শকের জীবনের গল্পের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। যাতে করে দর্শক অভিনীত চরিত্র এবং যে কাজটি করছি, তার গল্প থেকে যাপিত জীবনকে নতুন করে জানার সুযোগ পান। ঈদের কাজ নিয়ে আমার একই ভাবনা কাজ করে। যেজন্য ঈদে ব্যতিক্রমী কিছু নাটক-টেলিছবিতে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন।

তানজিন তিশা

তানজিন তিশা

এবারের ঈদ উদযাপন একটু অন্য রকম হতে যাচ্ছে। ঘরবন্দি ঈদ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলছে। ঘরেই কাটাতে হবে। ঈদে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে ভালো লাগে। তাই অসহায় মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতার চেষ্টা করব। এই বিশেষ দিনে প্রিয়জনদের উপহার দিয়ে চমকে দিতে দারুণ পছন্দ করি। এবারও তাদের জন্য থাকবে উপহার। সবশেষে কাজের কথাও বলতে চাই। ঈদে ভিন্ন ধাঁচের গল্প নিয়ে নির্মিত একাধিক টেলিছবি ও নাটকে আমাকে দেখা যাবে। সব সময়ই আমি চেষ্টা করেছি নিজেকে ভিন্ন ধরনের চরিত্রে তুলে ধরতে। এ ঈদেও তার ব্যত্যয় হবে না।

মিডিয়া নিয়ে তাহসানের যত প্রশ্ন

নিশো-তিশার প্রেমে রেকর্ড

'দোষ তাহসানের না, আমার'

সিএমভির ঈদ আয়োজন

কেমন হলো তাহসান-মিথিলার আলাপ

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ