সব

পুলিশ ক্যাডারে ক্যারিয়ার

আপডেট : ১৩ জুন ২০২১, ১৯:০৫

আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সিভিল সার্ভিস সর্বোচ্চ মর্যাদার চাকরি। এ ছাড়া নিরাপত্তা, আর্থিক উন্নতি এবং কর্মক্ষেত্রের বৈচিত্র্য এ পেশাকে আরো বেশি আকর্ষণীর করে তুলেছে। কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন চাকরিপ্রত্যাশীদের বিসিএসের প্রতি আরো বেশি মাত্রায় উৎসাহী করে তুলেছে।

বিসিএস পরীক্ষায় মোট ২৮টি ক্যাডারে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এ তালিকায় পুলিশ ক্যাডার নিঃসন্দেহে প্রথম সারির। বিসিএসে আবেদন করা চাকরিপ্রত্যাশীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পুলিশ ক্যাডারকে প্রথম পছন্দ হিসেবেও দিয়ে থাকে। অনেকে আবার এই পেশাকে প্যাশন হিসেবেও নিয়ে থাকে, যাঁরা স্বপ্ন দেখেন সমাজের অন্যায়কে প্রতিহত করার জন্য নিজেকে পুলিশ হতে হবে।
উপমহাদেশে পুলিশি ব্যবস্থা প্রথম বাস্তবায়ন করা হয় মোঘল আমলে। তারপর থেকে ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান আমলেও আমাদের দেশে পুলিশি ব্যবস্থা ছিল। শত বছরের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক আমাদের বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।

পুলিশ ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা যেসব বিশেষ এবং আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত হন তা হলো:

১. বৈচিত্র্যময় প্রশিক্ষণ

পুলিশের প্রশিক্ষণ নানান রকমের আছে। এ সুযোগ আবার দেশে ও বিদেশে পাওয়া যায়। চাকরির শুরুতেই একজন পুলিশ ক্যাডারকে এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ করতে হয় রাজশাহীর সারদায়, যা উপমহাদেশের প্রাচীনতম পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এ প্রশিক্ষণ বিভিন্ন অংশে বিভক্ত।

যার মধ্যে রয়েছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ, ঘোড়া চালনা, ড্রাইভিং, ডিফেন্সিভ টেক্টিকস (মার্শাল আর্ট, কারাতে, ইত্যাদি), শারীরিক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ চলাকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি মাস্টার্স করা বাধ্যতামূলক। বেসিক ট্রেনিংয়ের পর বিপিএটিসিতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ করতে হয় প্রত্যেক ক্যাডারকে। এ ছাড়া চাকরিজীবনের নানা পর্যায়ে দেশে-বিদেশে নানান প্রশিক্ষণের সুযোগ তো থাকছেই।

২. কাজের বৈচিত্র্য

যারা কাজের বৈচিত্র্যকে পছন্দ করেন তাঁদের জন্য পুলিশিং উপযুক্ত পেশা। একই সাথে এ পেশাকে আমি চ্যালেঞ্জিংও বলব। সমাজের সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে এ পেশার একজন কর্মজীবী সেবা দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া পুলিশে অনেক ইউনিট রয়েছে। পুলিশের ইউনিট ভেদে কাজের ধরনও আলাদা। উল্লেখযোগ্য ইউনিটগুলো হলো : রেঞ্জ পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), সোয়াট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়ন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), ট্যুরিস্ট পুলিশ ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে এসএসএফে কাজ করার সুযোগ, যারা ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।

৩. আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজের সুযোগ

বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছে। এরই মধ্যে পুলিশের নারী সদস্যরাও মিশনে গেছেন। আফ্রিকা-এশিয়ার, এমনকি আমেরিকার দারিদ্র্যপীড়িত আর দ্বন্দ্ব-সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া ইন্টারপোলের সদস্য হিসেবে অন্য সদস্য দেশের সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক বজার রেখে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।

৪. উচ্চশিক্ষার সুযোগ

আগেই বলেছি মৌলিক প্রশিক্ষণের সময়ই একজন পুলিশ ক্যাডার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি মাস্টার্স প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া চাকরিজীবনের নানান পর্যায়ে বিভিন্ন বিদেশি সরকার ও সংস্থার অর্থায়নে পুলিশ সদস্যরা মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান। এ ছাড়া ব্যাক্তিগত উদ্যোগেও দেশি-বিদেশি নানান বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ালেখা করছেন কেউ কেউ।

বিসিএস কেন-কতদূর?

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ