তাজমহলের সৌন্দর্য বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করে। আর তাইতো প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থী ভিড় জমায় ভারতের আগ্রার তাজমহল দেখতে। তবে চাইলেই তো আর যখন তখন ভারতে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে চাইলেই আপনি দেশের মধ্যেই তাজমহলের দেখা পাবেন।
নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! বলছি, বাংলার তাজমহলের কথা। অবিকল আগ্রার তাজমহলের মতোই এক নিদর্শন আপনি দেখতে পাবেন নারায়ণগঞ্জে। বাংলার তাজমহল নামেই সবাই এই নিদর্শনটিকে চেনেন।
ঢাকার অতি নিকটের এই দর্শনীয় স্থানটি পর্যটকদের মুগ্ধ করছে। এ কারণেই ছুটির দিনগুলোসহ অন্যান্য সময়ও সেখানে ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
ঢাকা থেকে মাত্র ১০ মাইল পূর্বে সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামে অবস্থিত এটি। প্রায় ৫ বছর ধরে এর নির্মাণকাজ চলেছে। এটি প্রায় ১৮ বিঘা জমির উপর অবস্থিত বাংলার তাজমহল।
এর আশেপাশে আরও ৫২ বিঘা জমি আছে পর্যটনের জন্য। যেখানে দেখা মিলবে প্রাকৃতিক পরিবেশ আর নাম না জানা হাজারও পাখির কিচিরমিচির।
এই তাজমহলটি গড়ে তোলা হয়েছে ব্যক্তিমালিকানায়। শিল্পপতি চলচ্চিত্রকার আহসানউল্লাহ মনি বাংলার তাজমহলের নির্মাতা। এই তাজমহলে ব্যবহার করা হয়েছে বিদেশি উপকরণ যেমন ১৭২টি কৃত্রিম ডায়মন্ড।
আরও ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি। এর নির্মাণ কাজে ৬ জন টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আগ্রার তাজমহলকে অনুকরণ করে নির্মাণ করায় নির্মাতাকে বেশ কয়েকবার ভারতে যেতে হয়েছিল।
বাংলার তাজমহল ২০০৮ সালে উদ্বোধন হয়। পর্যটকদের জন্য এখানে প্রবেশের আগে চমৎকার ১০টি ঝরনা আছে যা মুগ্ধ হয়ে দেখার মতোই। এছাড়াও তাজমহলের আশেপাশে ফুলের বাগান আর নিরিবিলিতে বসার স্থান খুঁজে পাবেন।
তাজমহলের ভেতরে দারুণ সব পাথর দিয়ে কারুকার্য করা। এর ভেতরেই আহসানউল্লাহ্ মনি ও তার স্ত্রী রাজিয়া দু’জনের কবরস্থান সংরক্ষিত আছে। এতেও আগ্রার তাজমহলের মতোই চার কোণে চারটি বড় মিনার দেখতে পাবেন।
এছাড়াও তাজমহলের ভেতরে গেলে দেখতে পাবেন ‘রাজমনি ফিল্ম সিটি স্টুডিও’। এর বাইরে আছে ‘রাজমনি ফিল্ম সিটি রেস্তোরা’। একইসঙ্গে খাবারের দোকান, হোটেল ও আবাসিক ভবন খুঁজে পাবেন সেখানে।
আরও আছে জামদানি শাড়ির দোকান, হস্তশিল্প সামগ্রী, মাটির গয়নাসহ আরও অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর দোকান। এর আশেপাশে আছে বিভিন্ন পিকনিক স্পট। চাইলে সেসব স্থান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।