সব

দেয়ালজুড়ে ইতিহাস সোনাকান্দায়

আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২১, ১৩:০৬


সোনাকান্দা দুর্গ ও সোনাকান্দা নাম নিয়ে রয়েছে মর্মস্পর্শী দুটি কাহিনী। নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা সোনাকান্দায় সোনাকান্দা দুর্গের অবস্থান। দুর্গটি বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম ঈশা খাঁ ব্যবহার করতেন। বাংলার সুবেদার ও সেনাপতি মীরজুমলা ১৭ শতকের মধ্যভাগে দুর্গটি নির্মাণ করেন। শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত।

নদীপথে ঢাকার সঙ্গে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ নদীপথগুলোর নিরাপত্তার জন্য মুঘল শাসকগণ কতগুলো জলদুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সোনাকান্দা দুর্গ। জানা যায়, সুলতান মীরজুমলা ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদীর জলদস্যুদের নিধন করার জন্য দুর্গটি স্থাপন করেন। হাজীগঞ্জ দুর্গের প্রায় বিপরীত দিকেই এর অবস্থান। দুর্গটি দেখতে অনেকটা হাজীগঞ্জ দুর্গের মতোই।

জনশ্রুতি আছে, এ দুর্গ থেকে পাতালপথে হাজীগঞ্জ দুর্গের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। মূলত দুর্গের নামানুসারে ঐ এলাকায় নামকরণ হয় সোনাকান্দা। ঈশা খাঁ বিক্রমপুরের জমিদার কেদার রায়ের বিধবা কন্যা সোনা বিবিকে জোরপূর্বক বিয়ে করে এই দুর্গে নিয়ে আসেন। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি সোনা বিবি। তিনি নীরবে নিভৃতে দুর্গে বসে রাত-দিন কাঁদতেন। সেই থেকে দুর্গের নাম হয় ‘সোনাকান্দা’।

ঐতিহাসিকদের মতে আরেকটি মর্মস্পর্শী ঘটনা রয়েছে। রাজা কেদার রায়ের মেয়ে স্বর্ণময়ী এসেছিলেন লাঙ্গলবন্দে পুণ্যস্নান করতে। একদল ডাকাত স্বর্ণময়ীর বজরায় হানা দেয়। প্রচুর স্বর্ণালংকারসহ স্বর্ণময়ীকে অপহরণ করে। পরে ঈশা খাঁ তাকে উদ্ধার করে কেদার রায়ের কাছে ফেরত পাঠাতে চান। কিন্তু মুসলমানের তাঁবুতে রাত কাটানোয় জাত গেছে—এ অভিযোগে কেদার রায় স্বর্ণময়ীকে আর ফেরত নেননি। এতে স্বর্ণময়ী কেল্লার তাঁবুতে দিনের পর দিন কেঁদে কেঁদে কাটিয়েছেন। আর তাই এর নাম হয় সোনার কান্দা বা সোনাকান্দা।


সোনাকান্দা দুর্গটি পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ৩০০ ফুট লম্বা ও উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ২০৮ ফুট চওড়া। আর দশ ফুট উঁচু এবং প্রায় সাড়ে তিন ফুট পুরু দেয়ালগুলোর সঙ্গে লাগানো বুরুজগুলো থেকে কামান দামানো হতো।

সংস্কৃতি ও প্রাচীন স্থাপত্যের মিশেলে সোনারগাঁও

আরও BUZZ

আজকের খেলা

আজকের খেলা

কানাডা কোচের মেসিকে হুমকি

ঝগড়ার পর ভুলেও যেসব কাজ করবেন না ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে

ডিএসএলআরের মতো স্মার্টফোনেই ছবি তুলতে সহায়ক ৫ অ্যাপ