সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। এটি বারানসী শহরে অবস্থিত। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী মন্দিরটি ভগবান শিবের প্রতি উৎসর্গ করে নির্মিত হয়েছে। গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত মন্দিরটি তাদের কাছে তীর্থ হিসেবে বিবেচিত হয়। কয়েক দফা এই মন্দিরের সংস্কার সাধন করা হয় ও সর্বশেষ ১৭৮০ সালে অহিল্য বাই হোল্কার মন্দিরের সংস্কার করেন।
অক্টোবর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময় মন্দিরটিতে ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। দর্শনার্থীরা গঙ্গা নদীতে নৌকাযোগে ভ্রমণ করেন। শিবরাত্রী, দ্বীপান্বিতা তিথি ও মকর সংক্রান্তি অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে পালন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
সনাতন ধর্ম মতে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পবিত্র তীর্থস্থান। শৈব মতাবলম্বীরা এখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। সোনার গম্বুজের জন্য এটি জনপ্রিয়। সারা বিশ্ব থেকে হিন্দুরা এখানে পূজা-অর্চনা করতে আসেন। শিব-দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা মন্দির দর্শন করেন ও মনে করেন এটি পূণ্যের কাজ।
পূজামণ্ডপে যা করবেন
১. দশশ্বামেধ ঘাটে স্নান করতে হবে। মন্দিরের অদূরে রয়েছে।
২. সারনাথে ধামেক স্তুপে ভ্রমণ করতে হবে।
৩. গঙ্গা নদীর পূর্ব দিকের তীরে ১৭৫০ সালে নির্মিত রামনগর দুর্গ ভ্রমণ করতে হবে।
৪. খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দির প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখার জন্য সারনাথ জাদুঘরে ভ্রমণ করতে হবে।
৫. কাশী মন্দিরের পাশেই অবস্থিত জ্ঞানভাপি মসজিদে ভ্রমণ করতে হবে।
পোশাক-আশাক
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভ্রমণের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো পোশাক না থাকলেও কিছু নিয়ম রয়েছে। মন্দিরের দর্শনার্থীদের অবশ্যই হাত ও পা ঢেকে রাখতে হবে। তবে ভারতের ঐতিহ্যবাহী ও পাশ্চাত্যের পোশাক পরে গেলে কোনো সমস্যা নেই।
কীভাবে যাবেন
শহরটির কেন্দ্র থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে লালবাহাদুরশাস্ত্রী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। বিমানযোগে বারানসীতে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া সম্ভব। এছাড়া বারানসীতে রয়েছে তিনটি রেলওয়ে স্টেশন- বারানসী জংশন, মুঘাই সারাই জংশন ও মান্ডুয়াদি রেলওয়ে স্টেশন। বিশেষ করে মুঘাই সারাই জংশন বারানসী শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাজধানী এক্সপ্রেস, শিবগঙ্গা এক্সপ্রেস, লোকমান্য তিলক বারানসী এক্সপ্রেস, ভিবুতি এক্সপ্রেস, হাওড়া যোধপুর এক্সপ্রেস, গঙ্গা কাভেরি এক্সপ্রেস, সংঘমিত্র এক্সপ্রেস, সেচুন্দারাবাদ এক্সপ্রেস ও মরুধারা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে বারানসীতে পৌঁছা সম্ভব।